নিউজ ডেস্কঃঃ
মহামারীর মধ্যে যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলার সঙ্কটে ব্যয় সঙ্কোচনের তাগিদ দিয়ে আরও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি ব্যয় কমাতে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে লাগাম টানা হয়েছে, কমানো হয়েছে গাড়ির জ্বালানি ব্যবহার, বিদ্যুতের ব্যবহার।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকটি নির্দেশনা দেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, খরচগুলো কমাতে হবে। এটার জন্য অলরেডি আমাদের প্রকল্পগুলোর ক্যাটাগরি করে দেওয়া হয়েছে- এ, বি, সি।
“এ ক্যাটাগরির প্রকল্পের পুরো টাকা খরচ করা যাবে। বি-ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যাবে। সি-ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত থাকবে।”
যে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন আশু প্রয়োজন, সেগুলোকে এ শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে, গুরুত্ব অনুযায়ী এর পরের দুই শ্রেণীতে রাখা হবে প্রকল্পগুলো।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুরুত্ব অনুযায়ী কোন প্রকল্প কোন শ্রেণীতে থাকবে, তা ঠিক করবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ব্যয় সাশ্রয় ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: সরকারি অফিসে ২৫% বিদ্যুৎ কমানোসহ ৮ সিদ্ধান্ত
তিনি বলেন, “কেনাকাটাতে যেগুলো ইমিডিয়েট না কিনলে হবে না, সেই জাতীয় কেনাকাটা চলবে। যেগুলো আপাতত না কিনলেও চলবে, সেই সব কেনাকাটা আপাতত স্থগিত থাকবে।”
বিদেশে প্রশিক্ষণের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “ট্রেজারি থেকে বিল হয়, এমন কোনো বিদেশ ভ্রমণ এখন মন্ত্রণালয়গুলো করতে পারবে না। সরকারি টাকায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।”
দরপত্রে থাকা দরদাতার ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তর সংক্রান্ত যে বিদেশ সফর রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে না বলে জানান তিনি।
আপাতত দিনে এক ঘণ্টা লোড শেডিং, তারপর পরিস্থিতি বুঝে: প্রতিমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সবাইকে একটু সহযোগিতা করার জন্য উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ অনুরোধ করেছেন।
“কারণ এটা (ভবিষ্যৎ) আমরা জানি না। পরশু চুক্তি হল, কালকেই আবার ইউক্রেইনের ওদেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ হয়েছে। চুক্তি হয়েছে ইউক্রেইন থেকে খাবারটা বেরিয়ে আসবে। বন্দর ছাড়া আসবে কীভাবে? এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি, খাবার ও সার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।”
“আমাদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। যেভাবে হোক আমরা যেন সাশ্রয়ী হই। এনার্জি ও টাকা-পয়সা অহেতুক খরচ না করি,” বলেন খন্দকার আনোয়ারুল।
এমন সঙ্কট মোকাবেলায় শস্য উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে খুবই জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে কোথাও যদি এক ফসলী জমি থাকে, সেখানে তিন ফসল করার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। বাড়ির উঠানে শাকসবজি, এগুলো করতে হবে।
Leave a Reply