নিউজ ডেস্ক :
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে,পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্সে তীব্র তাপপ্রবাহ ও দাবানল আগামী দিনগুলোতে আরও খারাপ হতে পারে এবং ইউরোপের অন্যান্য অংশেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকাব্রিটেনের তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বেশিরভাগ অংশে চরম তাপপ্রবাহের বিষয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রোববার ও সোমবার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে অস্বাভাবিক উচ্চে পৌঁছাতে পারেযুক্তরাজ্যে চরম তাপপ্রবাহের কারণে প্রথম বারের মতো লাল সতর্কতা জারির পর এবার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।আবহাওয়া অফিসের সর্বোচ্চ সতর্কতার আওতায় থাকছে আগামী সোম ও মঙ্গলবার লন্ডন, ম্যানচেস্টার, ইয়র্কসহ একটি বড় এলাকা। এমন সতর্কতার অর্থ হলো—এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে এবং দৈনন্দিন কাজের সূচিতে পরিবর্তন আনতে হবেএছাড়া রেলপথে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। কিছু স্কুল আগেভাগে বন্ধ হয়ে যাবে এবং কিছু হাসপাতালে রোগী দেখা বাতিল করা হবেএছাড়া সড়কের গলে যাওয়া কমাতে বালু ছিটানোর পরিকল্পনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এবং সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে যে, গাড়ি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কারণে আরও বেশিসংখ্যক চালকদের সাহায্যের প্রয়োজন হবেএদিকে পর্তুগালের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছেছে। সেখানে তাপপ্রবাহের চরম লাল সতর্কতা জারি করে মানুষের জীবন-হুমকির মুখে বলে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে স্পেন-ফ্রান্সেও। পর্তুগাল, স্পেনের পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে ২০টিরও বেশি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে।নেচার জিওসায়েন্স জার্নাল আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরে একটি উচ্চ চাপ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সাম্প্রতিক একটি মডেলিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।এ প্রসঙ্গে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ প্রোগ্রামের বৈজ্ঞানিক লরেঞ্জো ল্যাব্রাডর বলেন, আজোরেস হাই নামে পরিচিত এই পদ্ধতিতে দেখা গিয়েছে যে গত ১ হাজার বছরের মধ্যে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ সবচেয়ে শুষ্ক অবস্থার দিকে ধাবিত হবে।বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বায়ু দূষণ হচ্ছে অকাল মৃত্যু এবং রোগের একটি প্রধান কারণ এবং এটি হচ্ছে ইউরোপে সবচেয়ে বড় পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকি। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছর ইউরোপে বায়ু দূষণের কারণে ৩ লাখের বেশি মানুষ অকালে মারা যায় এবং বিশ্বব্যাপী সত্তর লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়।
Leave a Reply