নিউজ ডেস্ক :
এভাবে একে একে প্রতিপক্ষ এস্তোনিয়ার জালে পাঁচবার বল ঢুকিয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে এক ম্যাচে পাঁচ গোলের রেকর্ড থাকলেও জাতীয় দলের জার্সিতে এর আগে তিন গোলের বেশি ছিল না। এবার সেই আক্ষেপই যেনো দূর করলেন আর্জেন্টাইন তারকা। ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিকের দিনে গোল উৎসবই করলেন ক্ষুদে জাদুকর।
রোববার (৫ জুন) দিবাগত রাতে ওসাসুনার মাঠ আল সদর স্টেডিয়ামে একাই দলের হয়ে পাঁচটি গোল করেন লিওনেল মেসি।
শুরু থেকে প্রায় পুরোটা সময় নিজেদের অর্ধ ও ডি বক্সের আশেপাশেই ছিলেন এস্তোনিয়ার খেলোয়াড়। ল্যাতিন পরাশক্তিদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখাতে পারেনি তারা।
এদিন ফিনালিসিমা ম্যাচের একাদশ থেকে আট পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। এতো বড় পরিবর্তনে খেলার ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি আলবিসেলেস্তেদের। প্রথমার্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ করে যায় আর্জেন্টিনা।
২০১৯ সালের পর আর কোনো ম্যাচ না হারা দলটি এগিয়ে যায় অষ্টম মিনিটে মেসির সফল স্পট কিকে। হেরমান পেস্সেইয়াকে এস্তোনিয়ার গোলরক্ষক ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এ গোলের মধ্যদিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ভিন্ন ভিন্ন ৩০টি দলের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড গড়েন মেসি।
৩৮তম মিনিটে একটুর জন্য দূরের পোস্টে মেসির বাঁকানো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ৭ মিনিট পর ডি-বক্সে আলেহান্দ্রো গোমেসের কাছ থেকে বল পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন তিনি।
আর বিরতি থেকে ফিরেই আর দেরি করেননি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের অষ্টম হ্যাটট্রিক তুলে নেন। ৪৭ মিনিটে মলিনার দারুণ নিচু ক্রসে সঙ্গে থাকা খেলোয়াড়কে এড়িয়ে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
৭১তম মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন মেসি। এই প্রথম জাতীয় দলের হয়ে তিনের বেশি গোল করলেন তিনি। ৫ মিনিট পর স্কোর লাইন ৫-০ করেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তিন সতীর্থের শট ফিরে এলে বাকিটা সারেন অরক্ষিত এই ফুটবল ইশ্বর।
দেশের হয়ে এটি তার ৮৬তম গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল তিন জন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আলি দাই ও মোখতার দাহারির।
বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচে পাঁচ গোল করেছিলেন মেসি। চেষ্টা করেছিলেন সেটি ছাড়িয়ে যেতে। তবে বাকি ১৫ মিনিট তাকে আটকে রেখে এস্তোনিয়া ডাবল হ্যাটট্রিক করা থেকে বঞ্চিত রাখে মেসিকে।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত আলবিসেলেস্তেরা সবশেষ ২০১৯ সালে হারের মুখ দেখেছিল।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে এই এস্তোনিয়ার কাছেই কিংস কাপে ১-০ গোলের ব্যবধানে হার দেখে ল্যাতিনের আরেক দেশ ব্রাজিল।
Leave a Reply