নিউজ ডেস্ক :
‘মি.ডিপেন্ডেবল’ ডাকনামটা এমনিতেই পাননি মুশফিকুর রহিম। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় একা বুক চিতিয়ে লড়াই করাটাকে যে অভ্যাসে পরিণত করেছেন তিনি। ঢাকা টেস্টে প্রথম দিনে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ঐতিহাসিক জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করার সঙ্গে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় দিনের সকালে লঙ্কান পেসারদের তোপে দল যখন আবার বিপদে পড়ল, আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসও তখন সাজঘরে ফিরে গেছেন, তবে মুশফিক একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে গেছেন। ১১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিক ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন। মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩৬৫ রানে।
মোসাদ্দেক হোসেন আবারও হতাশ করেছেন। তিন বল খেলে রাজিথার বলে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভস ধরা পড়েন এ অলরাউন্ডার। পেসার খালেদ আহমেদ ও ফিরে গেছেন কোনো রান না পেয়ে।
শেষ দিকে মুশফিককে খানিকটা সঙ্গ দিয়েছেন কেবল তাইজুল ইসলাম। তারকা এ স্পিনার ৩৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৫ যোগ করেছেন তিনি দলীয় স্কোরে।
লঙ্কানদের হয়ে ২৭ ওভারে ৬২ রান করে ৫ উইকেট শিকার করেন কাসুন রাজিথা। ২৬ ওভারে ৯৩ রান নিয়ে ৪ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো।
তার আগে ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মুশফিক প্রথম দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। ১৩৫ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিয়ে অবিচ্ছেদ্য থেকে যান লিটন দাস।
Leave a Reply