নিউজ ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়ায় বুধবার (১১ মে) সরকারিভাবে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া কথা নিশ্চিত করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন এক টিভি ভাষণে বলেছেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এ সময় তাকে প্রথমবারের মতো মাস্ক পড়তে দেখা যায়।
কিম জং উন করোনার এ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন।
তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো করোনা রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
উত্তর কোরিয়া সরকারিভাবে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া কথা নিশ্চিত করার পর বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে।
নিজেদের জনগণকে উত্তর কোরিয়া কোনো করোনা টিকা দেয়নি। চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পরই নিজেদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এ পদক্ষেপের মাধ্যমেই দেশে ভাইরাসটির প্রবেশ বন্ধ করতে চেয়েছে তারা।
কিন্তু সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে এবং জরুরি পণ্য আমদানিও হ্রাস পায়, এতে দেশজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী চীনেই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় আর দেশটি এখন ওমিক্রন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য সংগ্রাম করছে। উত্তর কোরিয়ার অপর প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখেছে।
Leave a Reply