নিউজ ডেস্ক :
মোবাইল ফোনের ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের তরঙ্গ নিলামে অংশ নিয়েছে দেশের চারটি মোবাইল কোম্পানি। রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ নিলামের আয়োজন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নিলামপ্রক্রিয়া শুরু হয়। দেশের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তরঙ্গের নিলাম হচ্ছে। নিলামে বাংলালিংক, রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক, রবি ও গ্রামীণফোন অংশ নিচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযাগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ অপারেটর কোম্পানিগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তারা নিলামে উপস্থিত রয়েছেন। বিটিআরসির স্পেক্ট্রাম বিভাগের কমিশনার ও নিলাম পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ নিলামের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।
নিলামে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ (২ হাজার ৩০০ মেগাহার্টজ) ব্যান্ডে ১০টি ব্লকে ১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ এবং ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজ (২ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ) ব্যান্ডে ১২টি ব্লকে ১২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলাম হবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মেয়াদকাল হবে ১৫ বছর। তরঙ্গ বিক্রি হবে ১০ মেগাহার্টজের একটি ব্লক হিসেবে। ফলে অপারেটরদের কমপক্ষে একটি ব্লক বা ১০ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গ কিনতে হবে।
বেতার তরঙ্গের মোট ক্রয়মূল্যের ১০ শতাংশ নিলামের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এবং বাকি ৯০ শতাংশ ৯ বছরে সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবে অপারেটররা।
গ্রাহক সংখ্যার বিচারে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের হাতে এখন মোট ৪৭ দশমিক ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ আছে। এ ছাড়া রবি ৪৪ মেগাহার্টজ, বাংলালিংকের ৪০ মেগাহার্টজ এবং টেলিটক ২৫ দশমিক ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি সেবা চালু হয়। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ফাইভ-জির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
ফাইভ-জি উদ্বোধন করায় অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিগগির বাণিজ্যিকভাবে দেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে দেশ ফাইভ-জির যুগে প্রবেশ করে।
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের হাত ধরে বাংলাদেশে আনা হয় ফাইভজি। ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে টেলিটককে সহায়তা করছে হুয়াওয়ে ও নকিয়া।
প্রথমে ছয়টি এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর সংস্থা টেলিটক রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় ফাইভ-জি কভারেজের আওতায় আনছে। এ ছাড়া কিছু আইসিটি ও মোবাইল মেলায় ফাইভ-জি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়।
Leave a Reply