নিউজ ডেস্ক :
ইউক্রেনে আবারও নতুন ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো রাশিয়া। এতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের একটি তেল সংরক্ষণাগার ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মাইকোলাইভ অঞ্চলে কোস্ত্যন্তিনিভকা বসতির কাছে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি জ্বালানি সংরক্ষণ সাইট ধ্বংস হয়েছে। এনিয়ে ইউক্রেনে দ্বিতীয়বারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো মস্কো।
এর আগে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের একটি অস্ত্রাগারে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানান, মস্কো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের গুদাম ধ্বংস করেছে। গুদামটিতে ইউক্রেনের সেনাদের বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র রাখা ছিল বলেও জানান তিনি।
যুদ্ধে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের কথা আগে কখনোই স্বীকার করেনি রাশিয়া। দেশটির একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর ওই দিনই প্রথম কিনজাল নামের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করা হয়।
জানা গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে একটি যথাযথ বা প্রকৃত অস্ত্র হিসেবে অভিহিতি করেছেন, যা যেকোনো দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশিতে ছুটতে পারে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ বাহিনী। গত ২০ দিনে তাদের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ আক্রমণের মুখে এরই মধ্যে ৩০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন।
Leave a Reply