নিউজ ডেস্ক :
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ‘আমরা ক্ষমা করব না’, ‘নৃশংসতাকারীদের ছাড়ব না’; এ ধরনের নানা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এবার হঠাৎ করে নরম সুরে কথা বললেন তিনি। জানালেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য নিজের প্রস্তুতির কথা।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি বলছে, শনিবার (১২ মার্চ) বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের একটি দল বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। কেবলমাত্র আল্টিমেটাম ছুঁড়ে না দিয়ে তারা সংকট সমাধানের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।
তবে রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনা নিরপেক্ষ কোনো জায়গায় অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলেও মনে করছে কিয়েভ। আর এ ধরনের আলোচনার সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে ইসরায়েলের নাম নিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। কারণ, যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া কিংবা বেলারুশে কোনো সভার আয়োজন করা ঠিক নয়। আমি মনে করি এ জন্য ইসরায়েলই সঠিক স্থান হতে পারে।
জেলেনস্কি বলেন, আলোচনা সফল হতে হলে আগে ইউক্রেনকে ‘নিরাপত্তার নিশ্চয়তা’ দিতে হবে। এ ছাড়া চলমান সংঘাত শুধুমাত্র রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পশ্চিমের দৃষ্টিকোণ থেকেও নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।
এর আগে, চলমান সংকট সমাধানের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
লাভরভ বলেন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেননি প্রেসিডেন্ট পুতিন। আমি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবারকে মনে করিয়ে দিয়েছি যে সংকট সমাধানের জন্য সব সময় প্রস্তুত রাশিয়া। কিন্তু শুধু বৈঠকের জন্যই বৈঠক করে কোনো লাভ নেই।
পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্ভবত কোনো এক পর্যায়ে গিয়ে এ ধরনের আলোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে। তবে এটি হওয়ার জন্য প্রস্তুতিমূলক নানা কাজ করা উচিত।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো এবং কিয়েভের প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে তিন দফা আলোচনা করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো সমঝোতায় আসতে পারেননি তারা।
Leave a Reply