নিউজ ডেস্কঃ
প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়ে বিশ্বের প্রতি দায়িত্বের অংশ হিসেবে সংঘাত এড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বাইডেনকে ‘পুরনো বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করে শি বলেছেন, মানবাধিকার এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন ক্ষে্ত্রে নিয়ে যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তাদের হতে হচ্ছে, তা উৎরাতে দুই পক্ষ থেকেই যোগাযোগ আর সহযোগিতা বাড়াতে হবে। খবর বিবিসির।
ভিডিও কনফারেন্সের অপরপ্রান্তে হোয়াইট হাউজের রুজভেল্ট রুমের কনফারেন্স টেবিলে বসে বাইডেন বলেন, ‘আমার হয়ত আরও আনুষ্ঠানিক রেওয়াজ মেনে শুরু করা উচত ছিল। কিন্তু আমরা কখনোই নিজেদের মধ্যে অত আনুষ্ঠানিকতায় যাইনি।
তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আগেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। সব দেশকেই চলার পথে একই নিয়ম মানতে হয়।
বাইডেন বলেন, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুধু আমাদের দুই দেশের ওপর নয়, সত্যি কথা বলতে, পুরো বিশ্বের ওপরই এটা প্রভাব ফেলে।
দোভাষীর মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেওয়া শি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতির দেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
বাইডেন ও শি-র মধ্যে সর্বশেষ গত ৯ সেপ্টম্বর কথা হয়েছিল, দুই নেতার দেড় ঘণ্টার ওই কথোপকথনে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রাধান্য পেয়েছিল।
তবে বাইডেন গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার পৌনে ৭টার দিকে তাদের এ বৈঠক শুরু হয়।
কোভিড-১৯ এর উৎস থেকে শুরু করে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করাসহ নানান ঘটনায় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। দুই নেতার আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের বিরোধ খানিকটা হলেও প্রশমিত হবে বলে আশা বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply