নিউজ ডেস্কঃ
সিরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ার পর তা রূপ নেয় গৃহযুদ্ধে। এরপর থেকেই দামেস্কের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করে আরব দেশগুলো। প্রায় এক দশক ধরে পাশবিক গৃহযুদ্ধে জর্জর সিরিয়া। তবে দীর্ঘদিন পর দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার পথে রয়েছেন বাশার আল আসাদ। এখন দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আরব রাষ্ট্রগুলো আগ্রহী হয়ে উঠছে। এর মধ্যে অন্যতম সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি চুক্তি সই করে। খবর ডেইলি সাবাহর।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে খবরে বলা হয়, দামেস্কের কাছে একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সিরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
চুক্তিটি সই হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে দামেস্কে দেখা করার দুই দিন পর। সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই প্রথম আরব আমিরাতের উচ্চ পর্যায়ের কারও দামেস্ক সফর।
আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসাদ সরকারকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখার যে প্রক্রিয়া এতদিন চলে আসছিল তা থেকে দামেস্ককে বের করে নিয়ে আসার আঞ্চলিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এ সফরকে। এমনিতেই যুদ্ধ ও পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা বলছে, সিরিয়ার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি সই করেছে। এ কেন্দ্রের সক্ষমতা হচ্ছে ৩০০ মেগাওয়াট।
সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী গত মাসে বলেছিলেন, যুদ্ধের কারণে সিরিয়াজুড়ে বিদ্যুৎ খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ খাতে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।
সম্প্রতি সিরিয়ার একটি প্রদেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় চালুর জন্য ইরানের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সই করেছে দামেস্ক।
সিরিয়া যুদ্ধ শুরুর এক বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১২ সালে দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত দামেস্কে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালু করে। একই সঙ্গে সিরিয়াকে আরব লীগে ফিরে আসার আহ্বান জানায়।
Leave a Reply