স্পোর্টস ডেস্কঃ
ক্রিকেটার হিসেবে গড়পড়তা মানের হলেও শুধুমাত্র ক্ষুরধার অধিনায়কত্বের কারণেই ইংল্যান্ড দলে খেলতেন। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইয়ন মরগানকে দলে দেখে অনেকেরই এমনটা মনে হয়েছে। লম্বা সময় ধরে ফর্মহীন থাকার পরও একাদশে ছিলেন নিয়মিত। আর সেটা অধিনায়কত্বের কারণেই। তার ভালো নেতৃত্বের পেছনে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে ছিলেন ডাটা অ্যানালিস্ট ন্যাথান লিমন।
এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলার মাঝখানে মরগানকে ইঙ্গিত ইশারায় বুঝিয়ে দিতেন কোন ব্যাটারের বিপক্ষে কী চাল চালতে হবে। এভাবেই সেমিফাইনালে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ১৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিল ইংল্যান্ড। টানা দ্বিতীয় ফাইনালের দোড়গড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল তারা। কিন্তু ড্যারিল মিচেল ও জিমি নিশাম ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় সব। ক্যারিয়ারে নিশামের সঙ্গে অনেক খেলেছেন কিন্তু এমন বিধংসী রুপে তাকে কখনোই দেখেননি মরগান। হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে যাওয়ার পর রীতিমত বিধ্বস্ত তিনি ও তার দল।
হতাশায় জর্জরিত মুখে সংবাদ সম্মেলনে এসে মরগান বলেন, ‘আমরা জিমির বিপক্ষে প্রচুর খেলেছি। কিন্তু এর আগে কখনোই সে এভাবে হিট করেনি। সে ক্রিজে আসার আগে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। প্রচন্ড চাপের মুখে যখন দলের প্রয়োজন ছিল তখন দুর্দান্ত এক ক্যামিও উপহার দিয়েছে সে। আমরা বিধ্বস্ত। ক্লোজ ম্যাচে এমন হার মেনে নেওয়া সহজ নয়। যেখানে আমাদের ব্যাটিংকে খুব একটা সহায়তা করে না তেমন উইকেটে আমরা অবিশ্বাস্যভাবে ভালো লড়াই করেছি। বল হাতেও দুর্দান্ত ছিলাম আমরা।
ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ১৭তম ওভারে। যেখানে মাঠে ছোট প্রান্ত থেকে বল করে ক্রিস জর্ডান ২৩ রান দিয়ে ছিটকে ফেলেন ইংল্যান্ডকে। তাতে শেষ ৪ ওভারে জয় থেকে ৫৭ রান দূরে থাকা নিউজিল্যান্ড তা পাড়ি দিয়ে ফেলে এক ওভার বাকি থাকতেই। তাইতো ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারটি মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না ইংলিশ হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড।
তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আপনাকে মানতে হবে কেউ না কেউ আপনাকে পরাস্ত করবে এবং নিশাম সেটাই করেছে।’ এমন হারে তাই অজুহাতও দেখাচ্ছেন না মরগান, ‘ আমি মনে করি না শিশির খুব একটা প্রভাব ফেলেছে। ব্ল্যাকক্যাপসরা আমাদের থেকে ভালো খেলেছে। আমরা জানি যে শিশির আছে, তারপরও ম্যাচে ছিলাম। খুব বড় ফ্যাক্টর হয়তো না তবে তা একটু হলেও সুবিধা দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।
Leave a Reply