নিউজ ডেস্কঃ
নিজ আকাশসীমায় চীনের বিমানবাহিনীর ‘সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে বলে দাবি করেছে তাইওয়ান।
তাদের অভিযোগ, চীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে চীনের বিমানবাহিনীর ৩৮টি বিমান তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। খবর রয়টার্সের।
শুধু তাই নয়,গত এক বছর ধরে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের আকাশসীমাতেও চীনের বিমানগুলোকে উড়তে দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বছর জুনে চীনের ২৮টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় উড়তে দেখা গেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ানের যোদ্ধারা তাদের আকাশসীমায় ১৮টি জে -১৬, চারটি সু-৩০ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে লড়াই করেছে। এছাড়াও গত শুক্রবার পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপে সক্ষম দুটি এইচ–৬ বিমান এবং একটি সাবমেরিন-বিধ্বংসী বিমানের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছে।
চীন যখন তাইওয়ানকে পর্যবেক্ষণের জন্য ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি রেখেছে, তাইওয়ানও চুপ করে বসে থাকেনি। চীনা বিমানগুলোকে সতর্ক করার জন্য তারাও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, চীনের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো দুই পর্বে তাইওয়ানে প্রবেশ করে। প্রথম পর্বে কয়েকটি বিমান এটলের কাছাকাছি উড়ছিল। পরে আরও কয়েকটি বিমানকে বাশি চ্যানেলের আশপাশে উড়তে দেখা গেছে। এই বাশি চ্যানেলের মাধ্যমেই দক্ষিণ চীন সাগর প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
তাইওয়ানের অভিযোগ সম্পর্কে চীন চীন এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে তারা বলেছিল, এই যুদ্ধবিমানগুলো চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই কাজ করছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন হিসেবে হিসেবে দাবি করলেও চীন দেশটির ওপর প্রভাব বিস্তারে চেষ্টার কমতি রাখছে না। দেশটির ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ ক্রমাগত বাড়িয়েছে চীন।
Leave a Reply