বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
৫৮ কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৪৬ র‍্যাব সদস্যের শাস্তি হয়েছে: ডিজি গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ড. মোমেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির ভারতে গ্রেপ্তারকৃত সিলেট আ. লীগ ও যুবলীগের ৫ নেতার জামিন ভারতে ভেঙে দেওয়া হলো প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের একাংশ ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা : মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারো কড়াকড়ি ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা টবি ক্যাডম্যানের
ইসলামে ব্যবসার মূলনীতি

ইসলামে ব্যবসার মূলনীতি

ইসলামিক ডেস্কঃ ইসলাম মানুষকে সবক্ষেত্রে শরিয়তের নীতিমালা ও বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলে। আয়-উপার্জন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এক্ষেত্রে মৌলিকভাবে ইসলামের দুটি মূলনীতি।

এক. ব্যবসায়িক পণ্য, উৎপাদন ও কায়-কারবার বৈধপন্থায় হতে হবে। অবৈধ পণ্যের ব্যবসা ও কায়কারবারকে ইসলাম বৈধতা দেয় না। যেমন মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ ইত্যাদি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া। বিষয়গুলোকে ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে।

দুই. ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বাবস্থায় বৈধপন্থায় হতে হবে। ব্যবসায় কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল, মিথ্যাচার ও ফাঁক-ফোকর না থাকা যাবে না। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো হলো

ব্যবসায় কারও ক্ষতি না করা

ব্যবসায় মানুষের উপকারের মানসিকতা রাখতে হবে। কারও ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যের ক্ষতি করা কোনোটিই উচিত নয়।’ ইবনে মাজাহ : ২৩৪১

ব্যবসা করে ভোক্তা কিংবা গ্রাহকের কাছ থেকে শুধু অর্থ উপার্জন হচ্ছে তা নয়; বরং পণ্যের আদান-প্রদানে পরস্পরে সেবা হচ্ছে। বিক্রেতার প্রয়োজন টাকা, ক্রেতার দরকার পণ্য। এটা আদান-প্রদান হচ্ছে ব্যবসার মাধ্যমে। এখানে যদি লাভটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে, কোনো ধরনের মনোপলি না করা হয় তবে সমাজের জন্য এটি একটি বড় সহায়তা। ভালো জিনিস যৌক্তিক দামে প্রদানে সমাজের মানুষ সন্তুষ্ট হবে, তাতে আল্লাহতায়ালাও ব্যবসায়ীর ওপর সন্তুষ্ট হবেন। যখন ব্যবসায়ী ও গ্রাহক উভয়পক্ষ অনুভব করবে আমরা উপকৃত হয়েছি তখন সেখানে একটি হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে। ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। যা একটি সুগঠিত সমাজের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এতে উভয়পক্ষই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার সওয়াব পাবেন।

ধোঁকা, প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি না করা

এ ধরনের অপকর্ম ইসলামে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত। মন্দ জিনিস ভালো বলে চালিয়ে দেওয়া, ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশ্রণ করে ধোঁকা দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদিন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বাজারে গিয়ে একজন খাদ্য বিক্রেতার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তিনি খাদ্যের ভেতরে হাত প্রবেশ করে দেখলেন ভেতরের খাদ্যগুলো নিম্নমানের। এ অবস্থা দেখে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, হে খাবারের পণ্যের মালিক! এটা কী? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি সেটাকে খাবারের ওপরে রাখলে না কেন; যাতে লোকেরা দেখতে পেত? যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়।’ মুসলিম : ১০২

মিথ্যার আশ্রয় না নেওয়া

মিথ্যা অবশ্যই একটি নিন্দনীয় ও বড় ধরনের অপরাধ। ব্যবসার সঙ্গে মিথ্যার সংমিশ্রণ আরও বেশি মারাত্মক ও ক্ষতিকর। কোনো মুসলিম সত্যের সঙ্গে মিথ্যার সংমিশ্রণ ও সত্যকে গোপন করতে পারে না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা সত্যের সঙ্গে অসত্যের মিশ্রণ ঘটাবে না। জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।’ সুরা আল বাকারা : ৪২

একজন মুমিনের দোষ-ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক, যা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু কোনো মুমিনের মধ্যে মিথ্যা ও খেয়ানতের দোষ থাকাকে কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, একজন মুমিন দুর্বল হওয়া কি স্বাভাবিক? তিনি বললেন, হ্যাঁ, হতে পারে। আবারও জিজ্ঞাসা করা হলো, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে? বললেন, হ্যাঁ। তারপর জিজ্ঞাসা করা হলো, একজন মুমিন মিথ্যুক হতে পারে? বললেন, না।’ বায়হাকি শোয়াবুল ইমান : ৪৮১২

বর্ণিত হাদিসে একজন মুমিনের অন্যান্য দোষের কথা স্বাভাবিক বলা হলেও মিথ্যাকে স্বাভাবিক বলা হয়নি। এ কারণেই দেখা যায়, যে ব্যবসায়ী সত্যবাদী, আমানতদার, মিথ্যা কথা বলে না, খেয়ানত করে না তার দিকে মানুষ ঝুঁকে পড়ে। তার ব্যবসা দৈনন্দিন উন্নত হয়। তার দোকানে গ্রাহকের ভিড় বাড়ে, তার কাছে মানুষ আমানত রাখে, তার সঙ্গে মানুষ লেনদেন বাড়ায়। ফলে দেখা যায়, সে একসময় বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়। পক্ষান্তরে যে মিথ্যা বলে, মানুষ তার কাছে ভিড়তে চায় না, তার থেকে দূরে দূরে থাকে। তার সঙ্গে লেনদেন করে না। ফলে দেখা যায়, ধীরে ধীরে তার ব্যবসায় ধস নামে, মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। এ জন্যই আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘চারটি গুণ যখন তোমার মধ্যে থাকবে, তখন দুনিয়াদারি সব খুয়ে গেলেও তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আমানত সংরক্ষণ, কথায় সততা, উত্তম চরিত্র, হালাল খাদ্য।’ মুসনাদে আহমাদ : ৬৬৫২

এ চারটি গুণ এমন, যেগুলো কোনো ব্যবসায়ীর মধ্যে বিদ্যমান থাকলে, অবশ্যই তার ব্যবসার উন্নতি হবে, আল্লাহতায়ালা তার ব্যবসা-বাণিজ্যে বরকত দেবেন এবং এ ধরনের ব্যবসায়ী মানুষের কাছে প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হবে। দুনিয়াতেও তার সম্মান বাড়বে, আখেরাতের প্রতিদান তো রয়েছেই। কিন্তু তিক্ত হলেও সত্য, বর্তমানে ব্যবসায়ীদের অনেকে তাদের পণ্য বিক্রির জন্য মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে, এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ; যা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না। এর দ্বারা ব্যবসায়ী সাময়িক লাভবান হলেও তার পরিণতি হয় খুব করুণ।

ওজনে নিজ স্বার্থরক্ষায় কমবেশি না করা

অন্যকে পণ্য দেওয়ার সময় ওজনে কম দেওয়া আর নেওয়ার সময় বেশি করে নেওয়া জঘন্য অপরাধ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধ্বংস যারা পরিমাপে কম দেয় তাদের জন্য। যারা লোকদের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে। আর যখন তাদের মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়।’ সুরা আল মুতাফফিফীন : ১-৩

সুতরাং কাউকে যখন কিছু দেওয়া হবে, তখন কম না দেওয়া। যে কাজ নিজের জন্য পছন্দ নয়, তা অন্যের জন্য কোনোভাবেই পছন্দ করা যাবে না এটা ইসলামের শিক্ষা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি তোমার নিজের জন্য যা ভালোবাসো তা অন্যের জন্যও ভালোবাসার আগ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না।’ সহিহ্ বোখারি : ১৩

এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘… যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোকেরা ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্য-শস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ আত তারগিব : ৭৮৫

অপর একটি বর্ণনায় এসেছে, ‘… যে জাতি মাপে ও ওজনে কম দেয়, তাদের রিজিক উঠিয়ে নেওয়া হয় …।’ মুয়াত্তা মালেক : ৫৩৭০

মনে রাখতে হবে, নামাজ-রোজা ইত্যাদি নেকআমলে ত্রুটি হলে আল্লাহ হয়তো তা নিজের অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেবেন; কিন্তু মানুষকে সামান্য অণু পরিমাণ ঠকানোর  দায়ভার কিয়ামতের দিন আল্লাহ নেবেন না। কিয়ামতের দিন প্রতারিতকে ডেকে আল্লাহতায়ালা ওই প্রতারকের আমলনামা থেকে সমপরিমাণ সওয়াব তাকে দিয়ে দেবেন। প্রতারকের সওয়াব যদি শেষ হয়ে যায়, কিংবা কোনো সওয়াব না থাকে, তবে প্রতারিতের গোনাহ তার কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হবে। সেদিন কাঁদতে কাঁদতে যদি শরীরের লোমকূপগুলো থেকে রক্তও প্রবাহিত হয়, তাতেও কোনো কাজ হবে না। সেদিন এমন ব্যক্তিকে আল্লাহতায়ালা কোনোক্রমেই ক্ষমা করবেন না, যদি প্রতারিত ব্যক্তি তাকে ক্ষমা না করেন।

পণ্য বিক্রির জন্য মিথ্যা শপথ না করা

মিথ্যা মানবতাবোধকে লোপ করে, নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় ঘটায়। মিথ্যাবাদীর ওপর মহান আল্লাহর অভিশাপ। মিথ্যা বলে কিংবা মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রির পরিণতি খুবই ভয়াবহ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামত দিবসে আল্লাহতায়ালা তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রƒক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন যে তার ব্যবসায়িক পণ্যকে মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ সহিহ্ মুসলিম : ১০৬

ঠকা যাবে না অন্যকেও ঠকানো যাবে না

এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচা-কেনাতে প্রতারিত হয়। নবী কারিম (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে, তখন তুমি বলে দেবে, কোনো প্রতারণার দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিনদিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ সহিহ্ বোখারি : ৬৯৬৪

ব্যবসার সঙ্গে সুদকে না মেশানো

সুদ একটি মারাত্মক অপরাধ। সুদ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। ব্যবসার নামে কোনো প্রকার সুদ চালু করা যাবে না। সুদের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা সুদ খায় তারা কিয়ামতের দিন দণ্ডায়মান হবে শয়তানের প্রভাবে মোহাবিষ্টদের মতো। কারণ, তারা বলে ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) তো সুদের মতো, অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।’ সুরা আল বাকারা : ২৭৫

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সুদ যদিও বৃদ্ধি পায় কিন্তু এর শেষ পরিণতি হচ্ছে স্বল্পতা।’ ইবনে মাজাহ : ২২৭৯

হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী, হিসাবকারী এবং সাক্ষী সবার প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন এবং তিনি বলেন তারা সবাই সমান।’ সহিহ্ মুসলিম : ১৫৯৮

অনুমানভিত্তিক ব্যবসা থেকে বিরত থাকা

বৃক্ষস্থিত ফলকে বৃক্ষ থেকে আহরিত ফলের বিনিময়ে অনুমান করে বিক্রি করাকে মুযাবানা বলে। বিভিন্ন ধরনের মুযাবানা বর্তমানেও প্রচলিত। যেমন ক্ষেতে অকর্তিত খাদ্যশস্য যথা গম, বুট ইত্যাদিকে শুকনো-পরিষ্কার করা খাদ্য যথা গম, বুট ইত্যাদির বিনিময়ে অনুমান করে বিক্রি করাকে মুহাকালা বলে। সুদের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এগুলোকেও সুদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন। ইবনে কাশির

অপরের মাল হনন করার চেষ্টা না করা

ব্যবসার জটিল মারপ্যাঁচে অন্যের মাল হরণ করা হারাম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে গ্রাস (আত্মসাৎ) করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।’ সুরা আন নিসা : ২৯

হাদিসে এসেছে, একটি ব্যবসায়িক লেনদেনে উভয়পক্ষই খুঁতসহ পণ্যের সঠিক বর্ণনা দিতে হবে। ইসলামের বিজনেস কনডাক্ট সম্পর্কে হজরত জাবির (রা.) এভাবে বর্ণনা করেন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা তার প্রতি দয়া বর্ষণ করুক যে বিক্রির সময়, ক্রয়ের সময় এবং অভিযোগের সময় সদয় থাকে।’ সহিহ্ বোখারি : ২০৭৬

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

September 2021
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24