নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি নেই। নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকার চিন্তার জন্যই স্বাভাবিক রাজনীতি নেই। সংসদ সরকারের জবাবদিহিতা করতে পারছে না। আগে একটি রক্ষাকবচ ছিল। তা হলো নির্বাচন। এই রক্ষাকবচ সরকারকে এক দিনের জন্য তথা ভোটের দিন হলেও জবাবদিহি করতে পারত। যে নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল, তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো টিকে ছিল। সেই ‘এক দিনের গণতন্ত্র’ আর নেই। সঙ্গে জিএম কাদেরের কথোপকথন :
প্রশ্ন: ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘দেশে স্বাভাবিক রাজনীতি নেই।’ এখন আছে?
উত্তর: না, এখনও নেই।
প্রশ্ন: তাহলে অস্বাভাবিক রাজনীতির মধ্যে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে আপনিও নির্বাচিত হন। আপনার দল এখন সংসদের প্রধান বিরোধী দল। স্বাভাবিক রাজনীতি নেই বললে, সেই নির্বাচনকেই সমালোচনা করা হয় না?
উত্তর: স্বাভাবিক রাজনীতি নেই বলতে যা বোঝাচ্ছি, তা শুধু নির্বাচন-সংক্রান্ত নয়। হয়তো নির্বাচনকে ঘিরে এ পরিস্থিতি হয়েছে। কিন্তু রাজনীতি এখন বিনষ্টের পথে। রাজনৈতিক দলগুলো টিকতে পারছে না। বেশিরভাগ দল সাইনবোর্ডসর্বস্ব বা নেতাসর্বস্ব। সমর্থক গোষ্ঠী যতটা আছে, তা প্রতিদিনই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। সেই হিসেবে রাজনীতি স্বাভাবিক নেই। ১৯৯৬ সাল থেকে আমি নির্বাচন করছি। তখন নির্বাচন নিয়ে কথা ওঠেনি। ‘৯১, ‘৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচন সঠিক হয়েছে। ২০০৬ সালে পাতানো নির্বাচন করতে চেয়েছিল বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনও সঠিক হয়েছে। কথা হলো, যে যখন সুযোগ পায় পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করে। এখন নির্বাচন নিয়ে ওঠে নানা অভিযোগ। যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের অভিযোগের কিছু না কিছু ভিত্তি রয়েছে। আমরা চাই আগে যেমন নির্বাচন হতো, তেমন অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ থাকুক। যে কারণেই হোক, সেই পরিবেশ এখন বিঘ্নিত।
প্রশ্ন :রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার কারণ কি নেতৃত্বের দুর্বলতা নয়? বিরোধী দলগুলো সরকারি দমন-পীড়নের অভিযোগ করছে।
উত্তর: সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে বড় ভূমিকা রাখছে নির্বাচন ব্যবস্থা। নির্বাচন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে, মানুষ রাজনীতিতে আসতে আগ্রহী হয় না। দল করতেও আগ্রহী হয় না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় বিলীন হওয়ার প্রধান কারণ হলো নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। আর দমন-পীড়ন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। এটা ক্রমশ বাড়ছে। যে দলই ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেয়ে অন্যপন্থায় টিকে থাকার চেষ্টা চালায়। এই যে-কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকার চিন্তার জন্যই স্বাভাবিক রাজনীতি নেই। এই যে-কোনো প্রকারের মধ্যে কোনো ন্যায়নীতি, আদর্শ বলে কিছু নেই।
প্রতিটি খেলার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন হলে ফাউল হয়। আমাদের দেশের রাজনীতিতে ফাউল করেও পার পাওয়া যাচ্ছে। যে কেনো সরকার তার পূর্বসূরিদের চেয়ে বেশি নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। এটা শুধু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নয়, সবাই করছে। আজকাল গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এটি শুরু করেছে বিএনপি। রাজনৈতিক নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানিও শুরু করেছিল বিএনপি। এখন যা হচ্ছে, তা তারই ধারাবাহিকতা।
প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, সরকার শক্তিশালী বিরোধী দল চায়। কিন্তু আপনি যে ধারাবাহিক নিপীড়নের কথা বলছেন, তার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কি রয়েছে?
উত্তর: এই পরিস্থিতিতে কোনো সম্ভাবনা নেই। দ্বিতীয় কথা হলো, আমাদের সংবিধানেই সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র চালু করা হয়েছে। ‘চূড়ান্ত ক্ষমতা চূড়ান্ত অপশাসন তৈরি করে’- এ কথা মেনে বলতে হয়, সংসদ সরকারের জবাবদিহিতা করতে পারছে না। প্রধান জবাবদিহিতার স্থান সংসদ যদি না থাকে, তাহলে বাকি জবাবদিহিতাকে সরকার ম্যানিপুলেট করতে পারে।
প্রশ্ন: এই সংবিধানেই তো দেশ চলছে ১৯৯১ সাল থেকে। আগে তো বিরোধী দল শক্তিশালী ছিল।
উত্তর: তখন একটি রক্ষাকবচ ছিল। একটা জবাবদিহিতার স্থান ছিল। তা হলো নির্বাচন। এই রক্ষাকবচ একনায়কতন্ত্রকে এক দিনের জন্য, ভোটের দিন হলেও, জবাবদিহিতা করতে পারত। একনায়কতন্ত্রকে পরিবর্তনের সুযোগ ছিল। সেই রক্ষাকবচকে নষ্ট করার জন্য একানব্বই সালের পর প্রতিটি সরকার চেষ্টা করছে। এখন এমন একটা পর্যায় চলে এসেছে, ওই জবাবদিহিতার স্থানটাও আর কার্যকর নয়। সম্পূর্ণ জবাবদিহিতাহীনভাবে সরকার চলছে। তা সাংবিধানিকভাবেই হচ্ছে। যে নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল, তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো টিকে ছিল। যেটা ছিল এক দিনের গণতন্ত্র, নির্বাচনের দিন। ওই এক দিনের জন্য হলেও সরকারকে চিন্তা করতে হতো। মানুষের কাছে ওই এক দিনের সুযোগ ছিল সরকার পরিবর্তনের। এটাকে পাশ কাটাতে একানব্বইয়ের পর সব সরকার চেষ্টা করেছে। এখন মোটামুটি সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন: তাহলে কি আপনার কথিত সেই এক দিনের গণতন্ত্রও আর নেই?
উত্তর: আমার ধারণা আগে যেভাবে ছিল, সেভাবে নেই।
প্রশ্ন: সংসদে আপনিসহ সরকারি দলের কয়েকজন এমপি বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে আমলাতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কেন এমন হলো?
উত্তর: কোনো দেশে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে হতে এককেন্দ্রিক হয়ে উঠলে সেই শাসনব্যবস্থা সাধারণত আমলাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। আমলারা হচ্ছেন অনেকটা রোবট। তাদের যে আদেশ দেওয়া হয়, তা পালন করেন।
প্রশ্ন: কিন্তু সংসদে আপনি ও আপনার সহকর্মীরা বলেছেন, আমলারা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন।
উত্তর: সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে বলেই আমলারা তা করছেন। ক্ষমতার মালিক যিনি, তার পক্ষ থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমলাদের।
প্রশ্ন: ভারতে রাজীব গান্ধীর শাসনামলে ‘পিএম টু ডিএম’ কথাটা শোনা গিয়েছিল। মানে সিদ্ধান্ত নিতেন প্রধানমন্ত্রী আর কার্যকর করতেন জেলা প্রশাসকরা। মাঝে আর কিছু ছিল না। বাংলাদেশেও তেমন হচ্ছে বলে মনে করেন?
উত্তর: সব ক্ষমতা এক হাতে কেন্দ্রীভূত হলে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সহজ উপায় হলো আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে কাজ করা। আমাদের দেশেও সেভাবে হচ্ছে। সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে করতে এমন জায়গায় নেওয়া হয়েছে তাতে আমলাতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা), আপনারা কথা ও বক্তৃতা ছাড়া আর কী করছেন?
উত্তর: সংবিধানে যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া আছে, তাই করছে জাতীয় পার্টি। যে যত কথাই বলুক, আইনের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরা, জনগণের মতামত সংসদে তুলে ধরার কাজটি জাতীয় পার্টিই করছে। বাংলাদেশে কোনো সংসদীয় গণতন্ত্র বা কোনো গণতন্ত্রই নেই। সংসদের ভূমিকা নেই সংবিধানে। তারপরও যতটুকু সংবিধানের, তাই করছে জাতীয় পার্টি।
পশ্চিমা গণতন্ত্রে সংসদই সব কিছু। যুক্তরাজ্যের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ছাড়া সবাই বেসরকারি সদস্য। সেখানে বেসরকারি সদস্যরা সরকারকে জবাবদিহিতায় রাখেন। ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেন। আবার বিরোধী দলও সরকারের পক্ষে ভোট দেয়। আমাদের সংবিধানে এই সুযোগই রাখেনি। নির্বাচনকে এমন অবস্থায় নেওয়া হয়েছে যে, যারা ক্ষমতায় থাকে তারা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসে। তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের দরকার কি? অন্য পদ্ধতি চালু করা হোক, নির্বাচন ঠিক রেখে।
প্রশ্ন: দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখলে তো এমপি কেনা-বেচা হবে।
উত্তর: এ কারণেই যদি ৭০ অনুচ্ছেদ রাখা হয়, তাহলে তো মেনেই নেওয়া হয়, আমাদের দেশের মানুষ গণতন্ত্রের উপযুক্ত নয়। তারা ভোট দিয়ে চোর-বাটপার নির্বাচিত করে। তাহলে গণতন্ত্র রাখার দরকার কি? আমার জানামতে, বাংলাদেশের মানুষ ভোটের ব্যাপারে ভুল করে না। যখনই সুযোগ পায়, সঠিক জায়গাতেই ভোট দেয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে রাজনীতির ফয়সালা হয় রাস্তায়। জাতীয় পার্টিকে ভবিষ্যতে রাস্তায় দেখা যাবে?
উত্তর: রাস্তায় তো এখনও আছি। এখন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাস্তার পরিসরকে ছোট করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বিএনপিও নেই। আওয়ামী লীগ আছে সরকারি প্রশাসন হিসেবে। আন্দোলন করে যে সরকার পরিবর্তন হয় না তা প্রমাণ হয়েছে। গাড়ি ভেঙে হরতাল করে জনগণের ভোগান্তি হলেও সরকারের কিছু হয় না।
প্রশ্ন: তাহলে কি নির্বাচনে পরিবর্তন হবে?
উত্তর: এখানে যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে সরকার পরিবর্তন কঠিন। তারপরও সরকার পরিবর্তন হবে না বা চিরজীবন এই সরকার থাকবে, তা বলছি না।
প্রশ্ন: পাঁচ মাস পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ। গতবার জাতীয় পার্টির প্রস্তাবনা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এসেছিলেন। তারপরও এ কমিশন নিয়ে আপনাদের অনেক অভিযোগ।
উত্তর: যে কাজ নির্বাচন কমিশন করেছে…। শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী। সেই ক্ষমতা তারা প্রয়োগ করতে না পারলে দুটি পথ রয়েছে। হয় পদত্যাগ, নয় সরকারের কথা মতো চলা। নির্বাচন কমিশন অনেক সময় অসহায়।
প্রশ্ন: আগামী নির্বাচনে কোন ভূমিকায় থাকবে জাতীয় পার্টি?
উত্তর: নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। ততদিনে রাজনীতি ও পৃথিবীর অবস্থা কী হয় দেখতে হবে। কাবুলের পতন হয়েছে মাত্র ৯ দিনে। কেউ ভেবেছিল? কখন কী হবে কেউ জানে না। সরকারে কে থাকবে, কীভাবে থাকবে, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে- এ নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। জনগণের কাজ করতে হলে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে হবে।
প্রশ্ন: আপনি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু উপনির্বাচনে দেখা যাচ্ছে আপনাদের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ভোট থেকে সরে যাচ্ছেন। =
উত্তর: এমন লোককে আমরা শাস্তি দিচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনি বলছেন নির্বাচন অনেক দূরে। কিন্তু রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন। ওই আসনের এমপি এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ। ভাতিজাকে সরিয়ে আপনি নির্বাচন করবেন- এটা কি জাপার গৃহবিবাদ না এরশাদ পরিবারের বিবাদ?
উত্তর: এরশাদ পরিবারে বিবাদ নেই। ছিলও না। রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। ওই অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে আমার নাম ঘোষণা করেছেন। গত তিনটি নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে করায়, অনেক আসনে প্রার্থী ছিলেন না। তাই সেখানে কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছে। তাই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগাম ৩০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে, যাতে সময় নিয়ে প্রার্থীরা কাজ করতে পারেন।
প্রশ্ন: এবার অর্থনীতিতে আসি। সরকার বলছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ। করোনাকালে প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের বেশি। এটাকে তো ইতিবাচক বলবেন।
উত্তর: সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই বলেছি, প্রবৃদ্ধির শতাংশ দিয়ে পেট ভরবে না। যে প্রবৃদ্ধিতে কর্মসংস্থান তৈরি হয় না, তা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই।
প্রশ্ন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও ক্ষমতায় থাকাকালে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। আগস্ট মাসে এ কথা আসে। প্রধানমন্ত্রীও একাধিকবার বলেছেন।
উত্তর: বঙ্গবন্ধুকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি জাতির পিতা। স্বাধীনতার স্থপতি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আগের সরকারগুলো যে সুবিধা দিয়েছিল, এরশাদ তা ব্যাহত করেননি। এটা যদি অপরাধ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর আশপাশেও এমন লোক আছেন, যারা এর চেয়ে অনেক বড় ধরনের নেতিবাচক কাজে জড়িত ছিলেন। তাদের তো প্রধানমন্ত্রী খারাপ কিছু বলেননি।
প্রশ্ন: নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে জিয়াউর রহমানের মরদেহ নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, চন্দ্রিমায় জিয়ার মরদেহ নেই।
উত্তর: এটা কোনো বিষয়ই নয়। মরদেহ থাক আর না থাক, সম্মান সম্মানের জায়গায় থাকে।
Leave a Reply