মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
সফরে যেভাবে নামাজ আদায় করবেন

সফরে যেভাবে নামাজ আদায় করবেন

নিউজ ডেস্কঃ

প্রশ্ন: সফরকালীন নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত মাসআলা জানতে চাই!উত্তর: মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)

মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে।

কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায় কোনো আপত্তি নেই। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০১)

মুসাফিরের নামাজের নিয়ম

মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, কসর করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা তোমাদের নবীর মুখে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮৭)

মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে (তবে মুকিম ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই)। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়বে।

আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত শুরু করে দেয় এবং প্রথম বৈঠক করে থাকে, তা হলে সিজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে। আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে, তা হলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে।(বাদায়েউস সানায়ে: ১/৯১)

মুকিম ইমামের পেছনে নামাজ

মুসাফির ব্যক্তি মুকিম ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি : ১/২৪৩)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মুসাফির যদি মুকিমদের সঙ্গে নামাজে শরিক হয়, তবে সে যেন তাদের মতো (চার রাকাত) নামাজ পড়ে।’ (ইবনে আবি শাইবা: ৩৮৪৯)

সফর অবস্থায় নামাজ কসর করা সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। এসব হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর অবস্থায় সর্বদা নামাজ কসর পড়েছেন। আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে, এগুলোর কসর নেই।

সুন্নত পড়ার বিধান

মুসাফির ব্যক্তির জন্য চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্যান্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নত নামাজ আদায় করবে। (ইলাউস্ সুনান: ৭/১৯১, রদ্দুল মুহতার : ১/৭৪২)

মূলত সফর অবস্থায় তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত না পড়ার অবকাশ আছে। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নত নামাজ পড়া উত্তম। সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে। কেননা সুন্নত নামাজের কসর হয় না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

September 2021
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24