মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগসহ অনেকেরই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগসহ অনেকেরই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্কঃ আমাদের বাসায় যখন গুলি শুরু হয় বঙ্গবন্ধু কিন্তু সবাইকে ফোন করেছিলেন। আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হয়, তোফায়েল আহমেদের সাথে কথা হয়, সেনাপ্রধান সফিউল্লাহর সাথে কথা হয় সেনাবাহিনীরও, যার যা ভূমিকা ছিল তারাও কিন্তু সঠিকভাবে করে নাই। এর পেছনে রহস্যটা কী?

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ, দলীয় সমর্থক, মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর তখনকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সেই দিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা ঠিক যে এই রকম একটা ঘটনার পর আমাদের দল, সমর্থক, মুক্তিযোদ্ধাদের যে ভূমিকা ছিল, তা হয়তো তারা করতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা আপনারা জানেন যে যখনই আক্রমণ শুরু হয় প্রথমে যেমন সেরনিয়াবাত সাহেবের বাসায় বা শেখ মনির বাসায়, খবরটা আসার সাথে সাথে এবং আমাদের বাসায় যখন গুলি শুরু হয় বঙ্গবন্ধু কিন্তু সবাইকে ফোন করেছিলেন। আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হয়, তোফায়েল আহমেদের সাথে কথা হয়, সেনাপ্রধান সফিউল্লাহর সাথে কথা হয় সেনাবাহিনীরও, যার যা ভূমিকা ছিল তারাও কিন্তু সঠিকভাবে করে নাই। এর পেছনে রহস্যটা কী, সেটাই কথা।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। এর ছয় বছর পর নির্বাসনে থেকে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়।

পঁচাত্তরের পৈশাচিক ওই হত্যাকাণ্ডের দুই যুগ পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। এরই মধ্যে বিচার শেষে দণ্ডিত বেশির ভাগের দণ্ডও কার্যকর হয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল বলে মনে করা হয়।

এই ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটনে করোনা মহামারি শেষে একটি কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আলোচনাসভায় আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা, মা, ভাই-বোন সব হারিয়ে যে দিন বাংলার মাটিতে পা দিলাম, আমাকেও তো আসতে অনেক বাধা দিয়েছে। তার পরও জোর করে যখন আসলাম, হ্যাঁ, আমি সেই চেনামুখগুলো পাইনি। বরং দেশে এসে আমি কবর পেলাম। তখন আমি পেয়েছি লাখো মানুষ আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের ভালোবাসা, তাদের আস্থা, বিশ্বাস।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমি বলতে পারি আওয়ামী লীগ আমার পরিবার। বাংলাদেশটাই আমার পরিবার। আমি সেভাবেই বাংলাদেশের মানুষকে দেখি। আমি যেটুকু কাজ করতে পারব, মনে হয় আমার আব্বা, আম্মা তাঁরা দেখবে, নিশ্চয়ই দেখবে, দেখেন। হয়তো তাঁদের আত্মাটা শান্তি পাবে। আমি সেই চিন্তা করেই সব কাজ করি।’

এ জন্য তাঁর কোনো মৃত্যুর ভয়ও নেই, কোনো আকাঙ্ক্ষাও নেই—মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুধু এইটুকুই চাই, যারা ষড়যন্ত্রকারী, চক্রান্তকারী যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য তো ছিল বাংলাদেশ ফেইল্ড (ব্যর্থ) রাষ্ট্র হোক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনটা ব্যর্থ হোক, স্বাধীনতার আদর্শগুলো ধ্বংস হয়ে যাক… সেটা করতে দেব না। যে নাম তারা মুছে ফেলেছিল, আজকে আল্লাহর রহমতে সেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এখন আর কেউ তা মুছতে পারবে না।’

আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে এই সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

August 2021
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24