মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অটোমেটিক টোল আদায়

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অটোমেটিক টোল আদায়

নিউজ ডেস্কঃ যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে গত বছরের ১২ মার্চ।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই দিন দৃষ্টিনন্দন এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন।

দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায়ের জন্য একটি কোরীয় কোম্পানিকে কাজ দিচ্ছেন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে এ কাজ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।

তিনি বলেন, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই টোল আদায় করা হবে। গাড়ির সামনের যে উইন্ড স্ক্রিন সেখানে একটা স্টিকার থাকবে। গাড়িটি যখন যাবে তখন স্ক্যান করে গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে অটোমেটিক টোল আদায় হয়ে যাবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ভাঙা পর্যন্ত তিনটি ব্রিজ রয়েছে। সমুদয় টোল একটা সমন্বিত সিস্টেমের মাধ্যমে আদায় হবে।

কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির অর্থায়নে এই টোল আদায় কার্যক্রম চলবে বলে জানান সামসুল আরেফিন।  তিনি আরও জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ হাজার ১১২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ও ১ হাজার ৩৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে সংস্থাটির। প্রথমে ৫ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। পরে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

অতিরিক্ত সচিব জানান, রাস্তায় কী পরিমাণ যানবাহন রয়েছে, কোন পথ দিয়ে গেলে সুবিধা হবে- এসব তথ্যও দেখাবে কোম্পানিটি।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে, যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ‘আন্তর্জাতিকমানের এই এক্সপ্রেসওয়ে দুইটি সার্ভিস লেনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীকে যুক্ত করবে। এখন মাত্র ২৭ মিনিটে ঢাকা থেকে মাওয়ায় যাওয়া যাবে।’

এটিতে মাওয়া থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এবং পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একটি অংশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের দুটির অংশ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত হবে, যা বর্তমানে নির্মাণাধীন। দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর চার কিলোমিটার মঙ্গলবার ২৬তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে ২০১৬ সালে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করে। নির্ধারিত সময়সীমার তিন মাস আগেই কাজ সম্পন্ন হয়।

৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এর মধ্যে একটি ২.৩ কিলোমিটার কদমতলী-বাবুবাজার লিংক রোড ফ্লাইওভার। অন্য চারটি ফ্লাইওভার হলো আবদুল্লাহপুর, শ্রীনগর, পুলিয়াবাজার এবং মালিগ্রামে।

এক্সপ্রেসওয়ের জুরাইন, কুচিয়ামোড়া, শ্রীনগর ও আটিতে চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ রয়েছে। রয়েছে চারটি বড় সেতু। এর মধ্যে ৩৬৩ মিটার ধলেশ্বরী-১, ৫৯১ মিটার ধলেশ্বরী-২, ৪৬৬-মিটার আড়িয়ালখাঁ এবং ১৩৬-মিটার কুমার সেতু।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

August 2021
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24