নিউজ ডেস্কঃ কোভিড-১৯ এর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন আজ শেষ হচ্ছে। ফলে, ১৯ দিন পর কাল বুধবার থেকে সারা দেশে গণপরিবহণ, দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলছে। তবে সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ-পরিবহণ শ্রমিক, বিপণিবিতানের ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকার পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপণিবিতান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
আর গণপরিবহণ চলবে আসনের সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে। অর্ধেক গাড়ি চলবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ২৮ জুন থেকে সীমিত আকারে বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেদিন থেকেই সারা দেশের দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদের ব্যবসার জন্য আট দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। তাতে ঈদের আগে ছয় দিন বেচাবিক্রির সুযোগ পান ব্যবসায়ীরা। অনেকে ঈদের দিন ও তার পরদিনও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন। ২৩ জুলাই থেকে আবার ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে সেটি ১০ আগস্ট, অর্থাৎ আজকে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে না কমলেও ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চলমান বিধিনিষেধে না বাড়ানোসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, দোকানপাট ও বিপণিবিতান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বিধিনিষেধে খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকলেও ভেতরে বসে খাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ক্রেতারা শুধু খাবার কিনে নিয়ে যেতে পারতেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই মাসের শেষ দিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এরপর থেকে এখনও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
Leave a Reply