নিউজ ডেস্কঃ টিম অস্ট্রেলিয়ার সব চাহিদা মেনে সিরিজ সম্পন্ন করতে দু হাতে খরচ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।বিন্দুমাত্র অভিযোগ শুনতে রাজি নয় তারা। করোনার এই উচ্চসংক্রমণের সময়ে বিষয়টিকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে বিসিবি।
যে কারণে খরচের দিক দিয়ে ‘উদার’ মানসিকতা দেখাচ্ছে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড। কত অংকের অর্থ খরচ হচ্ছে এ সিরিজে?
সে হিসাব করতে দেখা গেছে, শুধুমাত্র অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের আবাসন বাবদই ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বিসিবির। সিরিজ খেলতে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ১১ দিন অবস্থান করবে টিম অস্ট্রেলিয়া।
এতো কম সময়ের একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এ অর্থ ব্যয়ই সম্ভবত বিসিবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এমন খরচের একমাত্র কারণ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেপে দেওয়া শর্ত। বাংলাদেশ সফরে আসার আগে তারা জানিয়েছিল, অবস্থানের জন্য এমন একটি হোটেল চান অসিরা যেখানে এই সফর সংশ্লিষ্টরাসহ হোটেলের নির্দিষ্টসংখ্যক কর্মী ছাড়া আর কেউ যেন অবস্থান না করে।
অর্থাৎ আস্ত একটি হোটেল বুকিং করে সেখানে বায়ো-বাবল তৈরি করতে হবে। সেই শর্ত মেনে নিয়ে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালকে বেছে নেয় বিসিবি। স্বাগতিক বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাসহ সেখানেই অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট, কোচ, কর্মকর্তারা। ম্যাচ অফিসিয়ালরাও রয়েছেন। আর হোটেল পরিচালনার জন্য আছেন হোটেলের ৫০ জন কর্মী।
জানা গেছে, ইন্টারকন্টিনেন্টালের ২১৫টি কক্ষের জন্য প্রতিদিন বিসিবির খরচ হচ্ছে ১২০ ডলার করে। সফরে এতোগুলো মানুষের খাবার খরচ ২-৩ কোটি টাকার কম হবে না। এদিকে বায়ো-বাবলের রাখার জন্য হোটেলেরই কর্মীদের হোটেলে রাখার জন্য টাকা খরচ করতে হচ্ছে বিসিবিকে।
কেবল হোটেলে থাকা ও খাওয়া বাবদই সব মিলিয়ে ১৫ কোটি টাকার মত খরচ হয়ে যাচ্ছে বিসিবির! প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাদবাকি খরচসহ পুরো সিরিজ আয়োজন শেষে বাংলাদেশ বোর্ড মুনাফার অর্থ গুনতে পারবে কি?
এ বিষয়ে বিসিবির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়া দল আসার ১০ দিন আগে থেকেই হোটেলে ৮৫ জনের মতো অবস্থান করছিল। প্রত্যেকের জন্য আলাদা রুম নির্ধারিত ছিল। এজন্য ব্যয়টা বেড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ে হোটেলও খালি করতে হয়েছে। সাধারণ একটি পাঁচতারকা হোটেলের প্রতিদিনের আয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।’
Leave a Reply