শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
জ্বরঠোসার ব্যথায় ভুগছেন, কী করবেন?

জ্বরঠোসার ব্যথায় ভুগছেন, কী করবেন?

নিউজ ডেস্কঃ এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণ তো আছেই। জ্বর হলে অনেকেরই হতে দেখা যায় জ্বরঠোসা। জ্বরের পর বা শরীরের ভেতরে জ্বর থাকলে সাধারণত এটি হয়ে থাকে। এটি হলে প্রথমে ঠোঁটের কোনায় ঘামাচির মতো হয়ে কিছু ফুসকুড়ির মতো বের হয়। পরে সেটি পরিণত হয় ঘায়ে।

এটি হলে ব্যথা ও যন্ত্রণার কারণে কথা বলা বা খেতে কষ্ট হয়। অনেকে এ সমস্যায় ভুগলেও জানেন না এর সমাধান কী। কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক উপায়েই নিরাময় করা যেতে পারে জ্বরঠোসার সমস্যা।

জানুন জ্বরঠোসা সমস্যা সমাধানের প্রাকৃতিক উপায়-

১. অ্যাপল সিডার ভিনেগার
অনেক রকম সমস্যা সমাধানের গুণাবলি রয়েছে অ্যাপল সিডার ভিনেগারের। এটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে পারে। তাই প্রতিদিন দুই বেলা করে এটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে জ্বরঠোসায় লাগালে মিলবে সমাধান। এতে জ্বরঠোসার ঘা দ্রুত শুকাবে এবং তার দাগও দূর হবে। তবে পানি না মিশিয়ে এটি ব্যবহার করা যাবে না, এতে জ্বালা করতে পারে।

২. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার হরেকরকম গুণাবলি আমরা কমবেশি সবাই জানি। তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে— এর ক্ষত সারানোর কার্যকারিতা। সামান্য পানির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে মিলবে জ্বরঠোসার চুলকানি ও ব্যথা থেকে মুক্তি। সঙ্গে দ্রুত শুকাবে এর ঘাও।

৩. আদার তেল
শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে আদা অনেক পরিচিত। বিশেষ করে ব্যথা কমাতে অনেক বেশি কার্যকর এটি। আদার তেল ব্যবহার করলে এটি হার্পস ভাইরাসকে ধ্বংস করে। ফলে এটি ব্যবহারে দ্রুত মিলবে জ্বরঠোসা সমস্যার সমাধান।

৪. পুদিনার তেল
জ্বরঠোসা হওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছে— এইচএসভি-১ এবং হার্পস ভাইরাস এইচএসভি-২। আর এ দুই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো ক্ষমতা রয়েছে পুদিনার তেলে। এটি ব্যবহারেও দ্রুত সারবে জ্বরঠোসা।

৫. গরম-ঠাণ্ডার সেঁক
জ্বরঠোসার ব্যথা কমাতে এর ওপরে গরম সেঁক নিতে পারেন। এতে ব্যথা কমার পাশাপাশি জ্বরঠোসার ফোলাভাব ও চুলকানিও কমবে। আর জ্বরঠোসার কারণে ঠোঁট ফুলে গেলে সেটি নিরাময়ে ব্যবহার করতে হবে ঠাণ্ডা পানি।

৬. বেকিং সোডা
জ্বরঠোসার ঘা শুকাতে ও এর চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে এটি কাপড়ের মাধ্যমে জ্বরঠোসায় ব্যবহার করলে মিলবে সমাধান।

৭. রসুন
প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাবলি থাকার কারণে রসুন অনেক পরিচিত। এতে থাকা অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য জ্বরঠোসা নিরাময় করতে পারে দ্রুত। এ জন্য অলিভ অয়েলে রসুনের একটি কোয়া রসুন থেঁতলে মিশিয়ে জ্বরঠোসায় ব্যবহার করতে হবে। দিনে তিনবার এটি ব্যবহারে দ্রুত সারবে জ্বরঠোসা।

৮. ভিটামিন-ই
জ্বরঠোসার ঘা নিরাময় করতে এবং ব্যথা কমাতে দ্রুত কাজ করে ভিটামিন-ই। এ ছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ত্বকের ক্ষতিকর কোষগুলো মেরামত করতে সহায়তা করে।

৯. সানস্ক্রিন
জ্বরঠোসা সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে সূর্যের আলোর ক্ষতিকর রশ্মি। তাই সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করতে ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন। এ জন্য জ্বরঠোসা হলে ঠোঁটের চারপাশে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি জ্বরঠোসার আকার বৃদ্ধি রোধ করবে। তবে এ জন্য এসপিএফ-৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

June 2021
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24