নিউজ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ না নিয়েই নিজেদের কাজের কৃতিত্ব আদায় করতে ব্যস্ত ছিল মোদি সরকার। এই ‘সিজোফ্রেনিয়া’র ফলেই দেশজুড়ে এমন ভয়াবহ চেহারা ধারণ করেছিল সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এভাবেই মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণ করতে দেখা গেল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে।
শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় সেবা দল’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এসময় অমর্ত্য সেন মনে করিয়ে দেন, দেশেই টিকা উৎপাদন শুরু করেছিল ভারত। পাশাপাশি ভারতীয়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। ফলে অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থাতেই ছিল দেশ। কিন্তু তবুও যে এভাবে সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা ধারণ করল, তার পেছনে রয়েছে সরকারের ‘সংশয়াচ্ছন্ন’ মনোভাব। সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে ‘সিজোফ্রেনিয়া’ অসুখের কথাও। যে অসুখে সত্যিকে বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে একটা ভ্রমের মধ্যে বাস করে মানুষ। সরকার সেই অসুখে আচ্ছন্ন বলেই ব্যঙ্গ করেন অমর্ত্য।
আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথের কথা উল্লেখ করে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ মনে করিয়ে দেন, ১৭৬৯ সালে অ্যাডাম জানিয়েছিলেন, কেউ যদি কোনো ভালো কাজ করে তাহলে তার জন্য একদিন সে আপনা আপনিই কাজের স্বীকৃতি পায়।
অমর্ত্য সেন বলেন, অতিমারীকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেকথা না ভেবে সরকার নিজেদের কৃতিত্ব নিতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। এর ফলেই ওই সিজোফ্রেনিয়া তৈরি হয়।
তার আরও অভিযোগ, সরকার গোটা বিশ্বের কাছে কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল, যেন ভারত বিশ্বকে রক্ষা করবে। সেই ফাঁকে সমস্যা ক্রমেই বেড়ে উঠে দেশময় ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয়দের প্রাণ সংশয় তৈরি করে।
ভারতে গত এপ্রিলে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডব। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, দৈনিক সংক্রমণ ছাপিয়ে যায় ৪ লক্ষকে। প্রতিদিন মৃত্যু হতে থাকে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষের। এই মুহূর্তে সংক্রমণকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ।
Leave a Reply