স্পোর্টস ডেস্কঃ শীর্ষ তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে এক মাহমুদ উল্লাহই যা একটু ম্লান। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শুরু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী দিনে রান পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের তামিম ইকবাল ও আবাহনীর মুশফিকুর রহিম। ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন মোহামেডানের সাকিব আল হাসানও। নিজ নিজ দলের জয়ে তিনজনই হয়েছেন ম্যাচের সেরাও।
বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় জিততে অবশ্য ঘামই ছুটে গেছে সাকিবের মোহামেডানের। শেষ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজন এক বল বাকি থাকতে মিটেছে আবু হায়দারের মারা ছক্কায়। নতুন বলে শুরু করে ২৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলা সাকিবের দল ৩ উইকেটের জয়ে শুরু করেছে আসর। মিরপুরে বৃষ্টি আইনে ১০ ওভারে ৭০ রানের টার্গেট পাওয়া আবাহনী দ্রুতই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও তাদের নিশ্চিন্ত করেছে শ্রীলঙ্কা সিরিজের দুর্দান্ত ফর্ম ডিপিএলেও টেনে আনা মুশফিকুর রহিমের ২৬ বলে ৩৮ রানের হার না মানা ইনিংস। তাই ৭ উইকেটের জয়ে শুরু করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরাও। বিকেএসপিতে ১২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে তামিমের ২ চার ও ৫ ছক্কায় ২২ বলে খেলা ৪৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
মিরপুরে দিনের অন্য ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানীর (৩/১৮) দারুণ বোলিংয়ে জয় দিয়ে শুরু করেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবও। তারা খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে হারিয়েছে ২২ রানে। বিকেএসপিতে সকালের দুটি ম্যাচই হয়েছে পরিত্যক্ত। এর একটিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের দারুণ ইনিংসে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৪ উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিয়েছিল ওল্ড ডিওএইচএস। কিন্তু বৃষ্টিতে রূপগঞ্জ ব্যাটিংয়েই নামতে না পারায় ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। ব্রাদার্সের ৭ উইকেটে ১২৭ রান তাড়ায় জেতার সুযোগ একই কারণে হাতছাড়া হয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবেরও।
আবাহনীর বিপক্ষে ৫৪ বলে ৯ চারে তাসামুল হকের অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসটিও গেছে বিফলে। তিনি দারুণ খেললেও তাঁর দল পারটেক্স প্রতিপক্ষের সাধ্যের বাইরে যেতে পারেনি। না পারার কারণ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। রান তাড়ায় দ্রুতই দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (২) ও নাঈম শেখকে (১৭ বলে ১৯) হারায় আবাহনী। তিনে নামা মুশফিক শুরুতেই জোরালো এলবিডাব্লিউর আবেদনে বেঁচে যাওয়ার পর আর পিছু ফিরে তাকাননি। তাঁর ইনিংসে তিনটি চারের সঙ্গে আছে একটি ছক্কার মারও। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেওয়া সাকিবও হজম করেছেন ছক্কার মার। এক ছক্কা ও দুই চারে তাঁর শেষ ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন সুমন খান। রান তাড়ার শুরুতেই মোহামেডান ওপেনার অভিষেক মিত্রকে হারালেও পারভেজ হোসেন ইমন (৩৯) ও শামসুর রহমানের (২৪) ৫৪ রানের জুটিতে বিপদে সামলে নেয় তারা। এরপর সাকিবের ব্যাটে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দল। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতেই নামে ধস। ৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। জমে ওঠে ম্যাচও। আবু হায়দারের মারা ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে মোহামেডানের। গাজী গ্রুপ ১২ ওভারে ৫ উইকেটে মাত্র ৯১ রান তোলার পর প্রাইম ব্যাংকের জয় নিয়ে সংশয় ছিল সামান্যই। তামিম সেটিকে করেন আরো দ্রুতগামী।
Leave a Reply