নিউজ ডেস্কঃ কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে নিউইয়র্কে প্রথম শহীদ মিনার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাভান রিচার্ড।
আগামী ২২ জুন কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন লড়াইয়ে তাঁকে ভোট দিতে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের আহ্বান জানিয়ে ডোনাভান বলেন, বাংলাদেশিদের দীর্ঘ দিনের দাবি শহীদ মিনার স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ফাহাদ সোলায়মানের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশি ফর ডোনাভান রিচার্ড’ ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাভান রিচার্ড। ফাহাদ সোলায়মানের আরেকটি প্রস্তাব বিজনেস অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠনের ব্যাপারেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদারের এক প্রস্তাবের জবাবে ডোনাভান বলেন, এটা অবশ্যই আমি বাস্তবায়ন করব।
ডোনাভান রিচার্ডের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থন প্রদানের এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এনওয়াই ইনস্যুরেন্স এবং গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, ইমিগ্রান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ, বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি মিজানুর রহমান ও ব্যবসায়ী ফয়সাল আজিজ।
ফাহাদ সোলায়মানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ সোসাইটির ভারাপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, জেবিবিএর পরিচালক হারুন ভূঁইয়া, ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা মোর্শেদ আলম, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের প্রধান শাহ শহীদুল হক, জেবিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, ব্যবসায়ী সর্দার হক, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, ব্যবসায়ী আবদুর রউফ, শেখ নোমান পলাশ, রশিদ আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুকিত চৌধুরী, নির্মাণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজাদ, দেওয়ান মনির, ব্যবসায়ী এমডি খালেক, শিল্পী আলতাফ জনি, রফিক আহমেদ খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডোনাভান রিচার্ড বাংলাদেশি কমিউনিটির অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের তাঁকে সমর্থন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আনতে হবে।
ডোনাবান রিচার্ড সবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে সব সময় পাশে থাকব। আমি ইমিগ্রান্ট এবং মুসলিম কমিউনিটির পরিস্থিতি বুঝি। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply