নিউজ ডেস্কঃ করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর ভোর থেকে ৩৭ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। দীর্ঘদিন পরে ট্রেন চালু হওয়ায় যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করছে। তবে কেউ কেউ অনলাইনে টিকেট কাটায় ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
সোমবার (২৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ট্রেন চলাচল শুরু উপলক্ষে আজ সকালে কমলাপুর যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লক ডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আজ থেকে দু’সিটে একজন যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দশনা আমরা পেয়েছি। সে জন্য দুরপাল্লার ২৮ জোড়া এবং ৯ জোড়া কমিউটার ট্রেন আজ থেকে চালু হলো। তবে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেন চলবে এবং যাত্রীদের অবশ্যই মাক্স পরে ট্রেন উঠতে হবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু ট্রেন বাড়ানো হতে পারে। তবে যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।
এদিকে, কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, আজ ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এর আগে লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। ১২টার দিকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা ছেড়ে যায়। তবে আজ প্রথম দিনে চাপ একটু কম। তাছাড়া সব টিকেট অন লাইনে অনলাইনে বিক্রি হওয়ার স্টশনে ভিড় কম।
তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের মাক্স ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। কোনো হকার বা দাঁড়ানো যাত্রী নেই। এর আগে স্টশন ও ট্রেনের বগি স্ট্রেলাইজড করা হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। এরই মধ্যে ৭ এপ্রিল থেকে কৃষিজাত পণ্য ও পার্শ্বেল পরিবহনে চার জোড়া মালবাহী ট্রেন চলছে।
Leave a Reply