শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ঢুকছে ত্রাণ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ঢুকছে ত্রাণ

নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্নির্মাণে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সঙ্গে গাজায় শান্তি ফেরাতে ‘নীরবে’ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তিনি।

বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা পুনর্নির্মাণে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে। সেখানে শান্তি ফেরাতে নীরবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি, ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সেখানকার সংঘাত নিরসনে একমাত্র সমাধান।’ গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেন।

জো বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতার কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলছি দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই ওই অঞ্চলে সংকট নিরসন সম্ভব। আমি মনে করি, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিতভাবে জীবনযাপনের অধিকার ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন দুই দেশের নাগরিকদেরই রয়েছে। তাই আমি জোর দিয়ে বলছি, সেখানে ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন জরুরি।’

যুদ্ধবিরতির পর গাজা ও ইসরায়েলের উপকূলীয় এলাকায় শান্তি ফিরেছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরানোয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ। তিনি কথা রেখেছেন, সংঘাত থামিয়ে শান্তি এনেছেন।’

পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের জের ধরে গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। টানা ১১ দিন তাণ্ডব চালিয়ে গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় ইসরায়েল।

এদিকে যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনে ত্রাণের প্রথম চালান পৌঁছেছে। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে ত্রাণ পৌঁছাল। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয় শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর মিসর, গাজা ও ইসরায়েল সীমান্তের মধ্যকার সংযোগস্থল কেরাম শালোম খুলে দিয়েছে ইসরায়েল। এ সীমান্ত দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলেছে, এই এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। সেখানকার আট লাখ মানুষ খাবার পানির সংকটে রয়েছে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, হাজারো আহত মানুষকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে গিয়ে এই এলাকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ইতিমধ্যে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এই এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দ্রুত ঢুকতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের শত শত বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ফিলিস্তিনের সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পুনর্নির্মাণ কাজ করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। ফিলিস্তিনের এ এলাকায় করোনাভাইরাসও ছড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সংস্থা প্যালেস্টানিয়ান রিফিউজি বলেছে, সাহায্যের জন্য তাদের ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার প্রয়োজন। গাজার গৃহায়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ হাজার ৮০০ বাড়ি বসবাসের অনুপযোগী হয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

জেরুজালেমের আল-আকসায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এই সংঘর্ষ পরে তীব্র আকার ধারণ করে। টানা সংঘর্ষ চলে ১১ দিন। এতে আড়াইশোর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ, যাদের অধিকাংশই গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। আহত এই ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে করিডোর সৃষ্টি করে তাদের সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24