শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রভাবে পানির নিচে মুম্বাই

ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রভাবে পানির নিচে মুম্বাই

নিউজ ডেস্কঃ ভারতে করোনার দাপটে মানুষ যখন আতঙ্কিত, সেই সময়েই এলো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাওকতের তাণ্ডব পানির নিচে মুম্বাই। ঝড়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। ৯৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শক্তি কমলেও ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কাঁপছে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। সোমবারই গোয়া, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি ও সংবাদ প্রতিদিন।

তাওকতের তাণ্ডবে মহারাষ্ট্রে ছয় জন, কেরালায় সাত জন এবং কর্ণাটকেও তকতের কারণে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সোমবার রাতেই গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে তাওকতে। এর প্রভাবে প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে গেছে। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। মুম্বাইয়ের অনেক এলাকা পানির নিচের ডুবে গেছে। উপড়ে পড়েছে গাছ। রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তকতের দাপটে পড়ে গেছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সাইটস্ক্রিন।

তা ওকতে সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ে। ১৯৯৮ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড়। এরপর থেকে তার শক্তি একটু একটু করে কমছে। মহারাষ্ট্রে ছয় জনের মৃত্যু ছাড়াও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। কর্ণাটকে সাত জেলার অন্তত ১২১টি গ্রাম ঝড়ে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেরালায় প্রায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝড়ের কারণে মুম্বাই উপকূলের কাছে ‘পি ৩০৫’ নামের একটি বার্জ ডুবে গেছে। তাতে ২৭৩ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। এদের মধ্যে ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আছেন ৯৬ জন। উদ্ধার কাজে নেমেছে নৌবাহিনীর আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতাসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ। এই বার্জটি ভারতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের মালিকানাধীন।

ভারতের নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে উপকূলে পানি ২০ থেকে ২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। এর পাশাপাশি সাগর ভূষণ ওয়েল রিগ এ আটকে পড়েছেন ১০১ জন। তাদেরও উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তলওয়ারকে। ‘গ্যাল কনস্ট্রাক্টর’ নামে একটি বার্জও বিপদের মধ্যে পড়ে। সেখানে ১৩৭ জন ছিলেন। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ সিজিএস সম্রাট তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। এছাড়া বার্জ এসএস-৩ মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়ে। সেখানে ১৯৬ জন যাত্রী ও ক্রু আছেন। তাদেরকেও উদ্ধারের কাজ চলছে। গুজরাটের উপকূল এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই ২ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনা রোগীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য সরকার বিদ্যুতের ব্যবস্থা চালু রাখাসহ সব রকম ব্যবস্থা করছে। মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক শো অ্যাম্বুলেন্স।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24