শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
এপর্যন্ত করোনায় মারা গেলেন ১২৯ ব্যাংকার

এপর্যন্ত করোনায় মারা গেলেন ১২৯ ব্যাংকার

নিউজ ডেস্কঃ করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবেও জরুরি সেবা হিসেবে চালু রাখা হয় ব্যাংকিং কার্যক্রম। সীমিত পরিসরে সেবা চালিয়ে নিতে ব্যাংকে আসতে হয় ব্যাংকারদের। এতে গত এক বছরে সারাদেশে সাড়ে ২২ হাজার ব্যাংকার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৯ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরই রয়েছেন পাঁচজন।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য। সারা দেশে ব্যাংকগুলোয় কর্মরত জনবলের তুলনায় আক্রান্তের হার ১২ শতাংশের ওপরে। ঘোষণা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিদের জন্য এককালীন অর্থবরাদ্দ দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। মৃতের পরিবারকে এ অর্থ দ্রুত বুঝিয়ে দিতে তদারকি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, গত বছরের মার্চ মাসে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ ছিল এ সময়ে। কিন্তু জরুরি সেবা হিসেবে সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয় ব্যাংক।

করোনা ঝুঁকি প্রথমবার হওয়ায় ভীত হয়ে পড়েন সবাই। ব্যাংককর্মীদের কাজে ফেরাতে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঝুঁকি বিমাসহ যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে এককালীন আর্থিক সুবিধা দেয়ার ঘোষণা করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো ব্যাংকার মৃত্যুবরণ করলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পাবে তার পরিবার। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ অর্থ দিতে হবে। এ অর্থ কোনোভাবেই কর্মীর ঋণ বা অন্য কোনো দায়ের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে না।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শুধু মৃত্যুজনিত আর্থিক সুবিধাটিই বহাল রাখা হয়েছে। অন্যসব সুবিধা বাতিল করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন দিয়ে যাতায়াত ভাতা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারি সাধারণ ছুটি চলাকালে মোট জনবলের অর্ধেক দিয়ে ব্যাংক চালু রাখা হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিদ্যমান লকডাউন সময়সীমা আবারও বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেদের কর্মীরা করোনা-আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পুরো খরচ বহন করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৬১ ব্যাংকের ক্ষেত্রে সারাদেশে মোট ২২ হাজার ৪১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে। সারাদেশে ব্যাংকারদের মধ্যে কত জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কোনো লিখিত পরিসংখ্যান রাখা হচ্ছে না। রিপোর্টিংও করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

কোনো ব্যাংকার করোনা-বিষয়ক যেকোনো ইস্যুতে তার ব্যাংক নির্দেশনা অনুযায়ী সুবিধা না দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানাতে পারবেন। এক্ষেত্রে মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে জানিয়েছেন একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাংককর্মীদের কাজে উৎসাহ দিতে করোনাকালে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে এসব বাস্তবায়ন করে, তা তদারকি করাটাও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ। আমরা নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করছি বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে। ব্যাংককর্মীরা যেন এ সুবিধা কোনো বিলম্ব ছাড়াই পান, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যাংককর্মী আক্রান্ত হয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে। ব্যাংকটির শাখা ও জনবল বেশি হওয়ায় আক্রান্ত কর্মীর সংখ্যাও বেশি হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬১টি ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব ব্যাংকে কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজারের ওপর। এর মধ্যে পুরুষ ব্যাংকার আছেন এক লাখ ৫৪ হাজার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24