নিউজ ডেস্কঃ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের দুই থেকে ছয় শতাংশ কার্যক্রম শেষ করেছে। মঙ্গলবার (৫ মে) এ তথ্য জানান মার্কিন কর্মকর্তারা।
এদিকে বেধে দেয়া সেপ্টেম্বরের সময়সীমা মাথায় রেখে তারা এ পর্যন্ত ৬০ পরিবহণ বিমানের সমপরিমাণ মালামাল সরিয়ে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, সৈন্য প্রত্যাহারে ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১৪ এপ্রিলের ঘোষণার পর থেকে ১ হাজার ৩০০ টি উপকরণ ধ্বংস করে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের একটি সামরিক স্থাপনা আফগান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হেলমান্দ প্রদেশে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আফগান সৈন্যরা ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলা মোকাবেলা করছে। ১ মে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক সৈন্য প্রত্যাহারের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন রোববার অ্যান্তোনিক ঘাঁটি হস্তান্তর করে।
এদিকে মার্কিন সামরিক নেতারা আশংকা করছেন যে সৈন্য প্রত্যাহারের পর কাবুল সরকার তালেবানের চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে।
নাইন-ইলেভেনের পর ২০০১ সালে ওই স্থান থেকেই তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন এবং বিমান হামলার ঘোষণা দেয়া হয়।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইট টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তি। ওই হামলাকে কেন্দ্র করেই তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
Leave a Reply