নিউজ ডেস্কঃ দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। কর্মস্থলমুখী এ মানুষের ঢল সোমবারও অব্যাহত ছিল। ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরুর ঘোষণার পর নানা কৌশলে যেভাবে তারা ঢাকা ছেড়েছিলেন; সেভাবেই আবার রাজধানীতে ফিরছেন। আবার দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ায় রাজধানীতে যেন ‘লকডাউন’ কেবল নামেই। একমাত্র গণপরিবহন চলাচল ছাড়া সবকিছু যেন স্বাভাবিক। রাজপথে প্রাইভেটকারের সারি; প্রায় প্রতিটা ক্রসিংয়ে যানজট। যেন রাজধানীর পুরোনো চেহারা।
ফেরিঘাটগুলোতে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় আরও বেড়েছে। এতে যথারীতি উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে দেখা গেছে, ঢাকামুখী মানুষের ঢল। গাদাগাদি করে মানুষ ফেরিতে উঠেছেন। একই দৃশ্য ছিল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাটেও।
এসব ঘাট থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ট্রলার, ছোট লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করেছেন। দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ থাকলেও ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরবাইক, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে যাত্রীরা ঢাকামুখী হয়েছেন। এত গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া; পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি।
এদিকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকায় সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেও ছিল যানজট। প্রধান সড়কগুলো ছিল ব্যক্তিগত যানবাহনের দখলে। দিনের বেলায়ও কাভার্ডভ্যান চলতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দিনে ৪-৫টি ছোট ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় প্রায় ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক ৩-৪ দিন ধরে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার ঘোষণায় ছোট গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
Leave a Reply