নিউজ ডেস্কঃ জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাদান কর্মসূচি আবার চালুর বিষয়টি অনুমোদন করেছে। তবে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির বিষয়টি নিয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিবিসির খবরে জানা যায়, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিডিসির উপদেষ্টা প্যানেলের সুপারিশের পর সিডিসি এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জনসনের টিকার স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার কথা জানায়।
নির্দেশ প্রত্যাহার করার অল্প সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে টিকাদান শুরু হতে পারে। এ সপ্তাহে ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯০ লাখ ৫০ হাজার জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।
মার্কিন সরকারের উপদেষ্টা বোর্ড পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সামান্য ঝুঁকির চেয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য টিকাটির ব্যবহার বেশি জরুরি বলে মনে করছে। তবে টিকাটি নেওয়ার সময় সতর্কবার্তা থাকবে। ৫০ বছরের নিচের নারীদের রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০ লাখ মানুষকে জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। তাঁদের সবাই নারী এবং বেশির ভাগের বয়স ৫০ বছরের নিচে।
বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান হলো টিকা নেওয়া।
Leave a Reply