বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৩:১৭ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের ৩০ জুনের পর দায়িত্বে থাকবেন না ড. ইউনূস : প্রেস সচিব সরকার প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা ভারতের পুশইন উসকানি নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জন খালাস

শুল্কমুক্ত হচ্ছে আরও ১০০ পণ্য

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান পাকিস্তানে হামলায় ৭০ সন্ত্রাসী নিহত, দাবি ভারতের ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬
খোশ আমদেদ মাহে রমযান

খোশ আমদেদ মাহে রমযান

নিউজ ডেস্কঃ আজ বুধবার, ৮ রমযান ১৪৪২ হিজরী। রহমতের দশকের অষ্টম দিন। করোনা আর লকডাউনের মাঝেই এবার আমাদের মাঠের ফসলকে রিযিক বানিয়ে ঘরে ওঠাবার আয়োজন শুরু করেছেন আমাদের কৃষককূল। মালিকের দরবারে প্রার্থনা তিনি যেন আমাদের ফসল উঠাবার সুযোগ দেন।


আজ মানুষের কিছু জিজ্ঞাসা সম্পর্কে আলোচনা করবো। অনেকেই সাক্ষাতে কিংবা মোবাইলে অনেক মাসাঈল জিজ্ঞেস করেন। এখন করোনাকালীন ভ্যাকসিনেশন চলছে। আবার রোযাও চলছে। এমতাবস্থায় ভ্যাকসিন বা টিকা নিলে রোজা ভাঙবে কী না? এ প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞ উলমায়ে কেরাম ও মুফতি সাহেবান বলেছেন, রোজার কোন ক্ষতি হবে না। রোজা ভাঙবে না।


যে সব কারণে রোজার কোন ক্ষতি হয় নাঃ এসব বিষয়ে মনে করা হয় যে রোজা ভেঙ্গে গেছে। পরে আবার ইচ্ছা করে পানাহার করা হয়। ফলে বাস্তবিকই রোজা ভেঙ্গে যায়। অথচ এগুলোর কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না, মাকরূহও হয় না। নিম্নে এর বিবরণ দেয়া হলো-

রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করা কিংবা যৌনাচার করা। কাঁচা বা শুকনা যে কোন ধরণের মিসওয়াক ব্যবহার করা। চোখে বা কানে কোন ঔষধ ব্যবহার করা কিংবা পানি ঢুকে যাওয়া। ফুল কিংবা আতর ইত্যাদির ঘ্রাণ নেয়া। গরমের কারণে কিংবা পিপাসার কারণে গোসল করা বা ভিজা কাপড় দিয়ে গা মোছা। অনিচ্ছাকৃত গলায় ধোয়া, ধুলাবালি বা মাছি মশা প্রবেশ করা। স্বপ্নদোষ হওয়া কিংবা কামোত্তেজনার সাথে কারো দিকে শুধু তাকানোর দ্বারা বীর্যপাত হয়ে যাওয়া। মুখে থুথু আসার পর তা গিলে ফেলা। সাপ ইত্যাদির দংশনের শিকার হওয়া। পান খাওয়ার পর ভালভাবে কুলি করা স্বত্ত্বেও থুথুর সাথে লালচে ভাব থেকে যাওয়া। ফরয-গোসল না করা অবস্থায় সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়া। নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, যদি পেটে না যায়। তদ্রুপ শরীরের অন্য কোন স্থান থেকে রক্ত বের হলে। পাইরিয়া রোগের কারণে যে সামান্য রক্ত পুঁজ সর্বদা বের হতে থাকে, তা মুখের ভিতরে চলে যাওয়া। রোজা অবস্থায় প্রয়োজনে কাউকে রক্ত দেয়া। তবে রোযা রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে-এমন দুর্বল হওয়ার আশংকা হলে, রক্ত দেয়া মাকরূহ।


যে সব কারণে রোজা মাকরূহ হয়ঃ বিনা প্রয়োজনে কোন বস্তু মুখে নিয়ে চিবানো বা লবণ ইত্যাদি চেখে দেখা। তবে ছোট বাচ্চার প্রয়োজনে কোন কিছু চিবানো বা স্বামী কিংবা মালিক বদ মেযাজী হলে, স্ত্রীর জন্য তরকারী চেখে দেখার অবকাশ আছে। উভয় ক্ষেত্রে থুথু ফেলে দিতে হবে। রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা। গোসল ফরয অবস্থায় পুরা দিন গোসল না করে অতিবাহিত করা। এ পরিমাণ রক্ত দেয়া যাতে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। গীবত, চোগলখুরী, ঝগড়া-বিবাদ কিংবা গালিগালাজ করা। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না রাখার আশংকা সত্ত্বেও স্ত্রীকে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা। ছোলা বুট থেকে ছোট কোন জিনিস দাঁতে আঁটকে গেলে তা বের না করে গিলে ফেলা।


যে কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং শুধু কাযা ওয়াজিব হয় তা হলো : নাকে তেল বা ঔষধ দিলে। ইচ্ছা করে মুখ ভরে বমি করলে বা বমি আসার পর তা গিলে ফেললে। কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময় অসতর্কতার কারণে পানি ভিতরে চলে গেলে। নারীকে স্পর্শ করার কারণে বীর্যপাত হলে। হস্তমৈথুনে বীর্যপাত হলে। কাঠ, লোহা, পাথর বা এ জাতীয় কোন অখাদ্য বস্তু খেলে। আগরবাতি, ধুপ বা বিড়ি সিগারেট ইত্যাদির ধোঁয়া ইচ্ছা করে নাকে বা কণ্ঠ নালীতে পৌঁছালে। ভুলে পানাহার করার পর রোযা ভেঙ্গে গেছে মনে করে, পরে ইচ্ছো করে পানাহার করলে। সময় আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার বা সহবাস করলে বা ইফতারের সময় হয়ে গেছে মনে করে সময়ের পূর্বেই ইফতার করে নিলে। পান মুখে রেখে ঘুমিয়ে গেলে আর এমতাবস্থায় সুবহে সাদিক হয়ে গেলে। নিয়ত একেবারেই না করলে বা এমন সময় করলে যে সময় নিয়ত গ্রহণযোগ্য হয় না। ছোলা বুট পরিমাণ বা ততোধিক পরিমাণ কোন খাদ্যের টুকরা দাঁতে আটকে থাকলে এবং সুবহে সাদিকের পর তা মুখ থেকে বের না করে গিলে ফেললে। অবশ্য এর চেয়ে ছোট হলে রোজা ভাঙবে না। তবে কাজটা মাকরূহ হবে। হ্যাঁ, মুখ থেকে বের করার পর গিললে তা যতই ছোট হোক না কেন রোজা ভেঙ্গে যাবে। দাঁত বা মুখের ভিতর থেকে রক্ত বের হলে যদি তা পরিমাণে থুথু বরাবর বা বেশি হয় এবং গলার ভিতর চলে যায়। ভিজা আঙ্গুল পায়ূপথের ভিতরে প্রবেশ করালে।


এক দেশে রোযা শুরু করে ভিন্ন দেশে চলে গেলে যদি দেখা যায় সেখানে আগে ঈদ হয়ে গেছে, তাহলে আগের দেশের হিসেবে যে কয়টা রোযা বাদ গেছে তা কাযা করতে হবে। পক্ষান্তরে ভিন্ন দেশে যাওয়ার পর সেখানে এক দুইটা রোযা বেড়ে গেলে তা রাখতে হবে। (মুফতী জমীরুদ্দীন, তুহফাতুল খাইর, পৃ. ৮-৯) রোযাদারের জন্য এসব মাসআলা মাসাঈল জানা জরুরী। মহান আল্লাহ আমাদের জেনে বুঝে সহীহ শুদ্ধভাবে রোজা রাখার তাওফীক দিন। আমীন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

April 2021
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24