সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
সিলেটে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে

সিলেটে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টঃ করোনায় সিলেটে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। প্রায় প্রতিদিনই এই মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম। স্বজনহারাদের আর্তনাদে ভারি হচ্ছে বাতাস। তারপরও সাধারণ মানুষের কাছে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ঝিমিয়ে পড়েছে প্রশাসনের তৎপরতাও। মৃত্যুর হার বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও করোনাভাইরাস ধরণ পাল্টিয়ে আরো শক্তিশালী হওয়াকেই দায়ি করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০৮ জন। শুরুতে মৃত্যুর হার কম থাকলেও গেল মার্চ থেকে প্রাণহানীর ঘটনা বাড়তে থাকে। তবে চলতি মাসে মৃত্যুর হার আগের সকল রেকর্ড ভাঙ্গে। গত মার্চ মাসে সিলেট বিভাগে করোনায় প্রাণ হারান ১৩ জন। অর্থাৎ গড়ে একদিনের বিরতিতে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এপ্রিল মাসে মৃত্যুর হার বেড়ে যায় দ্বিগুনের চেয়ে বেশি। চলতি মাসের গত ১৫ দিনে সিলেট বিভাগে করোনায় মারা গেছেন ১৮ জন। একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।

হঠাৎ প্রাণহানী বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সহাকারী পরিচালক ডা. নূরে আলম শামীম জানান, করোনার নতুন স্ট্রেইন আগের চেয়ে অনেক ভয়ানক। আগে আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে অনেক সময় নিত। উপসর্গগুলোও দৃশ্যমান থাকতো। ধীরে ধীরে সংক্রমিত হওয়ায় চিকিৎসারও সুযোগ মিলতো। এখন আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। প্রথম অবস্থায় অনেকের কোন উপসর্গই থাকে না। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেন না সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি। যখন বুঝতে পারেন তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই মৃত্যুর হার বাড়ছে।

মৃত্যুর সাথে সিলেটে করোনা সংক্রমণও বাড়ছে ভয়াবহভাবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা দুই অংকের কোটায় ছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষের দুই সপ্তাহ থাকে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। বর্তমানে প্রতিদিন সিলেট বিভাগে আক্রান্ত সনাক্ত হচ্ছেন শতাধিক। একই সাথে কোভিড হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর চাপ। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আইসিইউ, সাধারণ ওয়ার্ড ও কেবিন কোথাও সিট খালি নেই। তাই অনেকে ভর্তি না হতে পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে।

সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডা. নূরে আলম শামীম বলেন, সিলেটে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলে সংক্রমণ অনেকটা কমে আসতো। কিন্তু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। যারা মাস্ক পরিধান করছে, তারাও সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না। অনেকে পুলিশের বা ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে থুতুনিতে মাস্ক আটকে রাখছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কোনভাবেই কমানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১৯০ জন। আর করেনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ১৪৪ জন। সিলেটে করোনায় প্রথম মারা যান সিলেট ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিন। গেল বছরের ১৫ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আর গেল এক বছরে সিলেট বিভাগে করোনায় প্রাণ হারালেন ৩০৮ জন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

April 2021
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24