নিউজ ডেস্কঃ প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। শেষকৃত্যে কফিনের পাশে হাঁটবেন তার চার সন্তান প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স অ্যান্ড্রু, প্রিন্স এডওয়ার্ড এবং প্রিন্সেস অ্যানা। এছাড়া নাতি প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারিও হাঁটবেন রুপান্তরিত ল্যান্ড রোভার শবযানের পাশে।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে মোট ৩০ জন অতিথি থাকবেন; যাদের নাম গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ পরিবারের সদস্যদের বাইরে জার্মানির তিনজন আত্মীয় থাকবেন। অতিথিরা শোকের কালো কোট পরিধান করবেন। তবে সামরিক বাহিনীর পোশাক পরবেন না। সবাই মাস্ক পরবেন এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন। শুধু রানি একাই আসন গ্রহণ করবেন।
বাকিংহাম প্যালেসের এক মুখপাত্র জানান, জনস্বাস্থ্যের নির্দেশনা অনুযায়ী শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান সংশোধিত হয়েছে। তবে শেষকৃত্যের সব কিছুই প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের ইচ্ছা অনুসারে হবে। সামরিক বাহিনীকে প্রিন্স ফিলিপের সম্পৃক্ততা এবং ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন হবে অনুষ্ঠানে। উইন্ডসর প্রাসাদের সেইন্ট জর্জ চ্যাপেলে প্রিন্স ফিলিপকে সমাহিত করা হবে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায়।
বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, করোনার কারণে মাত্র ৩০ জন অতিথিকে নির্বাচন করতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ’কে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
এদিকে প্রিন্স ফিলিপকে যে কফিনে শায়িত করা হবে তা ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি করা হয়েছিল বলে রাজপ্রাসাদ জানিয়েছে। এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারির বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ মানুষকে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ভিড় না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বামী মারা গেলেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন। খবর ডেইলি মেইলের
ডিউক অব এডিনবারা, প্রিন্স ফিলিপকে উইন্ডসরে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে শায়িত করা হবে। তার কফিন বহন করা হবে একটি ল্যান্ড রোভার গাড়িতে, যার নকশা প্রিন্স ফিলিপ নিজেই করেছিলেন। ইংলিশ ওক কাঠের তৈরি কফিনটি ৩০ বছরের বেশি আগে তৈরি করা হয়েছিল, যার সঙ্গে মিল রয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্য তৈরি করা কফিনের। ঐতিহ্যগতভাবেই রাজপরিবারের সদস্যদের এই কাঠের তৈরি কফিনে সমাহিত করা হয়। কারণ এতে মরদেহ অনেক দিন সংরক্ষিত থাকে। প্রিন্সেস ডায়ানার মরদেহও এই ধরনের কফিনে সমাহিত করা হয়েছিল যার ওজন ছিল এক টনের চার ভাগের এক ভাগ।
প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তার ঘনিষ্ঠ ৩০ জন অংশ নিতে পারবেন যাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। উইন্ডসর এবং মেইডেনহিডের মেয়র জন স্টোরি বলেন, শনিবারের শেষকৃত্য হবে প্রিন্স ফিলিপের প্রতি শ্রেষ্ঠ সম্মান। সবার জন্য কঠোর বার্তা হচ্ছে—সবাইকে এই অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ শেষকৃত্য দেখার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে মারা যান।
Leave a Reply