একজন ডায়াবেটিক রোগীই বুজতে পারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কতটা কষ্টসাধ্য। শুধু ইনসুলিন ও দরকারী ওষুধ গ্রহণ করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায় । তাই আমরা লাইফস্টাইল বা জীবন যাত্রা পরিবর্তন করে কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
স্বাস্থ্যকর খাবার- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ হলো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ।
– শর্করাযুক্ত খাবার গুলো হিসাব করে খেতে হবে যেমন, চাল, আটার তৈরি বিভিন্ন খাবার, মিষ্টি ফল জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
– আমিষ জাতীয় খাবার পরিমিত খেতে হবে যেমন, মাছ, মুরগির মাংশ, ডিমের সাদা অংশ, দুধ, ছানা ইত্যাদি।
– তবে ঘি, মাখন, মাংসের চর্বি ইত্যাদি যতটা সম্ভব পরিহার করা ভালো।
– আঁশযুক্ত খাবার (ডাল, শাকসবজি, টক ফল বেশি খওয়া যেতে পারে।
– চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
– বান্নায় পরিবর্তন আনতে হবে, তেলে ভাজা খাবার, ডিপ ফ্রাই পরিবর্তে সিদ্ধ বা ঝোল রান্না করতে হবে
– অনেক সময় রক্তেসুগার নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন বা ওষুধ গ্রহণের থেকেও এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়াম- প্রতিটি মানুষের যেমন ব্যায়াম করা প্রয়োজন তেমনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের ভুমিকা উল্লেখযোগ্য। ব্যায়াম ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে গ্লুকোজের কাজ বাড়িয়ে দেয় ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটা, হাটার সময় প্রথমে আস্তে, তারপর একটু জোরে, তারপর আরো জোরে এবং শেষে আস্তে আস্তে হাটা।
এভাবে হাটার সময়কে ভাগ করে হাটতে হয়। হাঁটা ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম করা যায় যেমন, সাঁতার কাটা, নাচা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো যেতে পারে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
নিয়মিত চেকআপ- ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত চেকাআপ এ থাকতে হয়। বছরে অন্তত ১ বার হার্ড, লিভার, কিডনি, রক্তের চর্বি সহ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চেকাআপ করাতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে দেখা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
চাপ কে সামলানো– চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করা। চাপকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা। দুশ্চিন্তা দূর করতে বিভিন্ন প্রকার যোগ ব্যায়াম করা যেতে পারে।
ধূমপান কে না বলুন– ধুমপান মানে বিষপান, ডায়াবেটিস থাকলে হার্ড, লিভার, কিডনি ঝুঁকির মধ্যে থাকে ধূমপান এ ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
এলকোহল মুক্ত জীবন গড়ুন- এলকোহল ও সফট ডিংস থেকে দূরে থাকুন কেই খাবার গুলো ডায়াবেটিসের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস যেমন প্রতিটি পরিবারের উদ্বেগ তেমনি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে এই উদ্বেগকে প্রশমিত করা যায়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে সহজেই।
Leave a Reply