নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাথে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন সদস্য।
আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল সোয়া এগারোটার দিকে বিমানবন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তেজগাঁওয়ের হেলিপ্যাডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তারা। সেখানে হেলিকপ্টার যোগে তারা সাভারে গিয়ে একাত্তরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সাভারের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন শেষে সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করে মন্তব্য করেন। একইসাথে স্মৃতিসৌধ এলাকায় তিনি একটি গাছের চারাও রোপন করেন। সেখান থেকে ফিরে নরেন্দ্র মোদি হোটেল সোনারগাঁয়ে অবস্থান করেন বলে জানা গেছে।
নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় পৌঁছান। এ সময় নানা রাষ্ট্রাচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।
এদিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাত ৮টায় ১০মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিভিশন’ উদ্বোধন, এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে উলু ও শঙ্খধ্বনি দিয়ে এবং ডঙ্কা ও কাঁসা বাজিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বরণ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিনই তিনি সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরেও যাবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সফরে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলেও আভাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
Leave a Reply