নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যকার সীমান্ত পারাপার বন্ধের মেয়াদ আরও এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে দুই দেশের সীমান্ত পারাপার বন্ধ রয়েছে। প্রতি মাসে এই সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে ১২ বার সীমান্ত পারাপার বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোর স্থল সীমান্তে পারাপার এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকলেও অপরিহার্য বাণিজ্য, জরুরি সেবা, স্বাস্থ্যসেবা, বিমান পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা, ট্রাকচালক, চিকিৎসা সামগ্রীসহ জরুরি মালামাল পরিবহন অব্যাহত থাকবে।
করোনা মহামারি শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে চার লাখ মানুষ চলাচল করত। করোনার কারণে প্রায় এক বছর এই সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের বেশ বিপাকে পড়েছে। এতে অর্থনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। কানাডা থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ভ্রমণে মিশিগান আসে। এটি বন্ধ থাকায় মিশিগানের পর্যটন খাতে এরই মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর ১৬৭টি স্থল সীমান্ত পারাপার প্রায় এক বছর থেকে বন্ধ রয়েছে। গত ২১ মার্চ এই সীমান্ত পারাপার বন্ধের এক বছর পূর্ণ হলো । গত বছরের ২১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো তাদের সীমান্ত পারাপার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। আদেশে সিডিসি, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, রাজ্য ও পরিবহন বিভাগ, কানাডা ও মেক্সিকোর সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সীমান্ত পারাপার ও ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার অবসান কীভাবে করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনার কথা বলা হয়েছে।
Leave a Reply