সিলেটের বিয়ানীবাজারে চাচীর পরকীয়ার জেরে খুন করা হয় শিশু সাহেলকে। এ ঘটনায় সাহেলের চাচী সুরমা বেগম ও তার কথিত প্রেমিক নাহিদুল ইসলাম ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার আদালতে সাহেল হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুরমা বেগম।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রোববার সকালে বিয়ানীবাজারের উত্তর আকাখাজনা গ্রামের খসরু মিয়ার শিশু পুত্র সায়েল আহমদ তার চাচার ঘরের উঠানে আম কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে বিষয়টি তারা বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
অভিযোগ পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক ও এসআই হারুনুর রশীদ তার পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ জানতে পারে, শিশু সায়েলের চাচী সুরমা বেগমের সাথে চারখাই গ্রামের কামাল মিয়ার পুত্র নাহিদুল ইসলাম ওরফে ইব্রাহীমের পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। রোববার সকালে সুরমা বেগমের সাথে ইব্রাহিমকে দেখে ফেলে সাহেল। এরপ্রেক্ষিতে সায়েলকে তারা দুজন মিলে হত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, সুরমা বেগমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বসত ঘরের গোসল খানায় কম্বল মুড়ানো অবস্থায় শিশু সায়েলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং পরে সুরমা বেগম ও ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার সুরমা বেগম ঘটনার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
Leave a Reply