সিলেটের বাজার ভরে গেছে মৌসুমি ফলে। করোনাভাইরাসের কারণে কেনাকাটা কিছুটা কম হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই ফল বিক্রির বাজার জমে উঠবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। এদিকে এ বছর অনলাইনেও ফল বিক্রিতে সাড়া পড়েছে অনেকটা।
সিলেটের বন্দর বাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বছরের মত বেচাকেনায় তেমন ভিড় নেই ফলের দোকানগুলোতে। করোনাভাইরাসের কারণে এমনটি হয়েছে বলে মন্তব্য ব্যবসায়ীদের। ফলের বাজারে ক্রেতা কম হলেও দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা।
সিলেটের ফলের পাইকারি আড়ত কদমতলিতে কিছুটা কম দামে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু খুচরো বাজারে দাম অনেকটা বেশি বলে কয়েকজন ক্রেতাদের মন্তব্য।
জানা গেছে, খুচরো বাজারে হিমসাগর, ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে, আনারস মাঝারি (হালি প্রতি) ৮০-৯০, রাজশাহী লিচু ১০০টি ২০০-২২০ টাকা ও কাঁঠাল মাঝারি প্রতি পিছ ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মেন্দিবাগ পয়েন্টের ফল ব্যবসায়ী বাদল মিয়া জানান, এ বছর করোনার কারণে সিলেটে মেয়ের বাড়িতে আম-কাঠাল অনেকে দিচ্ছেন না। যার কারণে বেচাকেনা কম।
কদমতলির ফলের আড়তদার লিপন আহমদ বলেন, এ বছর করোনায় ব্যবসায় বড় মন্দা দেখা দিয়েছে। তবে কিছু দিন গেলে ব্যবসা কিছুটা জমে উঠবে বলে তিনি আশাবাদী।
মেন্দিবাগ পয়েন্টে আম কিনতে আসা উপশহরের ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার জানান, করোনায় ঘর থেকে বের হতে ভয় লাগে। অকেটা ঝুঁকি নিয়েও তিনি মধু ফলের রস উপভোগ করতে ৫ কেজি আম কিনতে এসেছেন।
এদিকে সিলেটের অনেকেই রাজশাহী থেকে বিভিন্ন জাতের আম অনলাইনে অর্ডার করেও আনছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরণের বিজ্ঞাপনও দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার কারণে সিলেটের ফলের ব্যবসায়ীদের (দোকানী) উপর অনেক প্রভাব পড়েছে।
Leave a Reply