করোনা ভাইরাস ঝুঁকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পুরো উপজেলা লকডাউন করায় অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন সেখানকার হাজারো মানুষ।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি মাদারীপুরে ফিরেছেন। তাদের একটি বড় অংশই এসেছেন ইতালি থেকে। বিদেশফেরত এসব লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় গোটা জেলাবাসী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন।
দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মোট ১৮ জনের মধ্যে ৫ জনই মাদারীপুরের।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে বিশেষ ব্রিফিংয়ে করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্রয়োজনে সরকার লকডাউন করার ভাবছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকা আছে যেখানে বিদেশফেরত অনেক মানুষ কোয়ারেনটাইন মানছেন না। কিছু এলাকায় অনেক বেশি বিদেশফেরত মানুষ অবস্থান করছেন। যেসব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হবে, সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে।’
এদিকে স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, মাদারীপুরে ইতালি প্রবাসীর পরিমাণ বেশি। করোনা মহামারিতে অনেকেই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু কেউই হোম কোয়ারেনটাইন মানছেন না। যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাতে করে গোটা জেলার মানুষের মধ্যে সংক্রমণ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মসজিদে গিয়ে ওইসব প্রবাসীরা জামাতের নামাজও পড়ছেন। কেউ নিষেধ করলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
এরইমধ্যে মাদারীপুরে দুই প্রবাসীকে হোম কোয়ারেনটাইন না মানায় ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জারিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইতোমধ্যে মাদারীপুরে প্রায় ২৪৫ জন হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন। ৪ জন আছেন আইসোলেশনে।
Leave a Reply