চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২০২ জন নিহত হয়েছে। শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯৮১ জন। অপরদিকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ১৫৮।।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৬ এবং মারা গেছে ৭৭ জন। অপরদিকে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫০২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের।
হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান, সেখানাকার একটি জীবন্ত প্রাণী বিক্রির বাজার থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীন হুবেই প্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ওই অঞ্চলের সাথে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ আক্রান্তের খবর আসছে, তাতে আক্রান্তের আসল খবর জানা যাচ্ছে না। কারণ, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, শুধু তাদের হিসেব পরিসংখ্যানে ধরা হচ্ছে। তাই এর প্রকৃত হিসেব বের করা বা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার, যা আরেকটি আশঙ্কার কারণ।
চীনের সবগুলো প্রদেশসহ বিশ্বের ৭৬টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২৯০ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ হাজার ৩২৮ জন। যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চ।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীন ভ্রমণে সতর্কতা, নিষেধাজ্ঞা জারি এবং কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ। ভারত, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশ চীন থেকে আগত যাত্রীদের ভিসা বাতিল করেছে। ভাইরাসের কারণে, বিশ্বের অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। চীনে অধিকাংশ বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্সসহ আরও অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
এছাড়া, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে (কোভিড-১৯) চীনে ৮ স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চীনে ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানিয়েছেন।
Leave a Reply