জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় হানাউ শহরে বন্দুকধারী উগ্র জাতীয়তাবাদী শ্বেতাঙ্গ যুবকের বন্দুক হামলায় নিহত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। নিহতদের মধ্যে ৫ জনই তুরস্কের নাগরিক। হামলায় আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সময় বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে হানাও শহরের একটি শিশাবার এবং পার্শ্ববর্তী ক্যাফেতে প্রবেশ করে গুলিবর্ষণ করে ৪৩ বছর বয়সি বন্ধুকধারী। হামলায় এসব হতাহত হয়।
এরপর হামলাকারী সেই ঘটনাস্থল থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি গাড়ি এবং স্পোর্টস বারেও হামলা চালায়। সেখানেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে হামলাকারী এবং তার মাকে মৃত অবস্থায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে- বন্দুকধারী উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি আত্মঘাতী হওয়ার আগে হত্যা করে নিজের মাকেও।
এদিকে হামলাটিকে ‘জাতিবিদ্বেষের’ কারণ হিসেবেই দেখছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তিনি জানান, ‘অন্য জাতিসত্ত্বা, ধর্ম এবং চেহারার প্রতি বিদ্বেষ থেকে হামলাকারী উগ্র ডানপন্থি চরমপন্থা, বর্ণবাদী উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে বলে এই মুহূর্তে নানা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’
তবে তিনি জানান, ‘জার্মানি প্রতিটি মানুষের সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর, তা তিনি যে বর্ণের বা জাতিরই হোন না কেন।’
জার্মানির গণমাধ্যম বলছে, হামলাকারী অতীতে আরব এবং মুসলমান দেশগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল বলে জানা গেছে। বুধবারের হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে এমন একটি চিঠি এবং ভিডিও বার্তাও পরীক্ষা করছে পুলিশ।
এদিকে, বুধবারের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন তুর্কি নাগরিক ছিলেন বলে দাবি করেছেন জার্মানিতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আলী কামাল আয়দিন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘এই হামলা এটাই প্রমাণ করে যে, ইউরোপে ‘বর্ণবাদ এবং ইসলামবিদ্বেষ’ বাড়ছে।’
Leave a Reply