তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে বিমান ছিটকে ৩ জন নিহত এবং ১৭৯ জন আহত হয়েছে। রুক্ষ আবহাওয়ায় পেগাসাস এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের পর এতে আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি।
তুরস্কের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে যে, দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন বিমানে একটি বিশাল ফাটল ধরে, সেখান দিয়ে অনেক যাত্রী বের হয়ে গিয়েছিল।
দেশটির এনটিভি টেলিভিশন জানিয়েছে, তুরস্কের পেগাসাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত বোয়িংয়ের বিমানটি বুধবার বন্দরনগরী ইজমিরের আজিয়ান শহর থেকে ইস্তাম্বুলের সাবিহা গোকসেন বিমানবন্দরে এসেছিল। পরে অবতরণের সময় ইস্তাম্বুলে প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিমানটি ধাক্কা খেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহেরেটিন কোকা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ৩ তুর্কি মারা গিয়েছিলেন এবং ১৭৯ জন আহত হয়েছে।
সিএনএন-তুর্কি টেলিভিশনে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী মেহমেট কাহিত তুরহান বলেছেন, “কিছু যাত্রী নিজেরাই বিমানটি থেকে বেরিয়ে এসেছে। বাকিরা আটকে আছে, আমাদের উদ্ধারকারীরা তাদের বের করার জন্য কাজ করছে।”
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৭৭ জন যাত্রী এবং ছয় জন ক্রু সদস্য ছিল। তাদের মধ্যে ১২ জন শিশুও ছিল।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, রানওয়ে থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিমানটি প্রায় ২০০ ফুট পিছলে যায়। বিমানটি প্রায় ৩০-৪০ মিটার উপর থেকে পড়ে যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারত বলেও জানান তিনি।
পরিবহনমন্ত্রী তুরহান বলেছিলেন, ইস্তাম্বুলের দুটি প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি সাবিহা গোকসেনে খারাপ আবহাওয়ায় বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে এবং বিমানটি ভেঙে যায়। এতে ককপিটসহ বিমানের সামনের অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং আরও একটি বিশাল অংশ নিয়ে লেজসহ বিমানের পেছনের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর তুরস্কের বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল সাবিহা গোকসেন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিমানগুলিকে ইস্তাম্বুলের মূল বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
দুর্ঘটনার আগে ইস্তাম্বুল এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টি হয়েছিল, ইস্তাম্বুলের বিশেষত শীতকালে আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে প্রায়শই ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় ইস্তাম্বুলের পাবলিক প্রসিকিউটর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
Leave a Reply