রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
আজকের সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মিটিংয়ের নামে হলে ডেকে নিয়ে নির্যাতন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মিটিংয়ের নামে হলে ডেকে নিয়ে নির্যাতন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তথাকথিত মিটিংয়ের নামে হলে ডেকে এনে ওপর রাতভর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে একই ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রধানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, কয়েক দিন ধরে তারা খেলার মাঠে এবং অন্যান্য জায়গায় তথাকথিত মিটিংয়ের নামে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছে মানসিক হেনস্তার শিকার হচ্ছিলেন। যার ক্ষোভ থেকে তারা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজাকে মোবাইল ফোনে দুটি মেসেজ পাঠান।

লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, ওই খুদে বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে চতুর্থ বর্ষের মশিউর রহমান রাজা দ্বিতীয় বর্ষের আখতারুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে বঙ্গবন্ধু হলের ২০৭ নম্বর কক্ষে ডেকে আনেন। ওই কক্ষে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজ বর্মণ বিধান, মিনহাজুর রহমান, ফাহাদ রহমান অঝর ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাবেরুল বাশার নিরব উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০৭ নম্বর কক্ষের ওই পাঁচজন মাদক সেবনের পর তাস খেলছিলেন। খেলা শেষে তারা আখতারুলকে খুদে বার্তা পাঠানোর কারণ জানতে চেয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। আখতার ভয়ে কারণ বলতে না চাইলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। প্রথমে চুল ধরে তাঁকে কয়েকটি থাপ্পড় মারা হয়। তখন আখতার ভুল স্বীকার করে কাঁদতে কাঁদতে মশিউর রহমান রাজার পা ধরে ক্ষমা চান। এর পরও চলে নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে আখতারের মাধ্যমে ফোনে তার সহপাঠী আশিকুর রহমানকে সেখানে ডেকে পাঠানো হয়। আশিক আসার পর তাকেও একই প্রশ্ন করা হয়। তিনিও খুদে বার্তা পাঠানোর জন্য ক্ষমা চান। কিন্তু তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি মারধর করা হয়। রাত ৪টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মহিদুজ্জামানকে ডেকে নেওয়া হয়। তার সামনেও আশিক ও আখতারকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে একই কক্ষে ডেকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে গালিগালাজ করাসহ তাঁর অভিভাবকের ফোন নম্বর নেওয়া হয়। ফোন নম্বর দেওয়ার পরও মশিউর রহমান রাজা তাঁকে থাপ্পড় মারেন এবং রাজ বর্মণ বিধান তাঁকে কানে আঘাত করেন। চুল ও সোয়েটারের কলার ধরে টানাহেঁচড়া করেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, সকাল ৬টায় মহিদুজ্জামান ও আশিকের মাধ্যমে দ্বিতীয় বর্ষের তানজিম হাসান অপু, হাবিবুর রহমান ও রাকিব হাসানকে ২০৭ নম্বর কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। সবাই উপস্থিত হলে মেহেদি হাসানকে তার মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করেন বিধান। শেষ পর্যায়ে তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনের জোরপূর্বক লিখিত বিবৃতি ও স্বাক্ষর নিয়ে তা ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।

ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ আর এম মুস্তাফিজুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের সভায় অভিযুক্তদের নামে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে।’

অভিযুক্তদের মধ্যে মশিউর রহমান রাজা বলেন, ‘সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হতেই পারে। অভিযোগ করার মতো কিছু ঘটেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা এক প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

January 2019
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24