কয়েকদিন আগের ৪২ জন সাবেক সচিবের বৈঠক নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের আমন্ত্রণে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কয়েকজন সচিবও।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপােরেশন নির্বাচন আগে এমন বৈঠকে সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিকঅঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। প্রশাসনের সাবেক শীর্ষকর্তার এমন বৈঠকের বিষয়টি মিডিয়াতে আসার পর সচিবালয় থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন ব্যাপক আলোচনা শোনা যাচ্ছে।

গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচাস্থ শিল্পকলা একাডেমিতে এসব অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা বৈঠক করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার। বৈঠকে ৭৩,৭৭, ৭৯,৮১, ৮২ ও ৮২ (বিশেষ), ৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে চান তারা। এজন্য তারা গবেষণা ও সেবাধর্মী একটি ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ওই বৈঠকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।

বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন না তাদেরকেও পরবর্তী সময়ে যোগদানের আহ্বান জানানো হবে। বৈঠকে ফোরামের গঠনতন্ত্র করতে একটি উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সাবেক সচিব শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে একটি সংগঠন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে একটি অরাজনৈতিক, সেবা ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া ‘সম্ভাব্য থিংক ট্যাংক’ প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের খসড়া করার জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে প্রধান করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতাকে রাষ্ট্রের কাজে লাগাব। তাই সব সাবেক সচিবের অংশগ্রহণেই হবে এ সংগঠন। প্রথমে একটি খসড়া তৈরি করে সবার ই-মেইলে দেওয়া হবে। তারপর সবার মতামত নিয়ে এর গঠনতন্ত্র তৈরি করা হবে।’