রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্তে রানির সমর্থন

হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্তে রানির সমর্থন

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

এরপরও তিনি চান, হ্যারি-মেগান দম্পতি রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে রাজকীয় দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করুন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) হ্যারি-মেগান দম্পতি আকস্মিক এক ঘোষণায় রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বনির্ভর জীবন যাপনের জন্য যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি কানাডায় বসবাসের কথা জানান।

তাদের ওই ঘোষণায় ব্রিটিশ রাজপরিবারে তোলপাড় শুরু হয়। তাদের ওই সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে গতকাল সোমবার ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টির স্যান্ড্রিংহ্যাম প্রাসাদে হ্যারির সঙ্গে বৈঠক করেন রানি এলিজাবেথ ও তার উত্তরাধিকারেরা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, বৈঠকে রানি ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার ‘পূর্ণ সমর্থন’ থাকার কথা জানান।

রানি জানান, তিনি চাইছেন হ্যারি-মেগান রাজপরিবারের সদস্য হিসেবেই পুরো সময় দায়িত্ব পালন করুন। কয়েক দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

গতকাল সান্ড্রিংহামের বৈঠকে হ্যারির বাবা প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস এবং বড় ভাই ডিউক অব ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম উপস্থিত ছিলেন।

এক বিবৃতিতে রানি বলেন, সান্ড্রিংহামের বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক হয়েছে। তরুণ পরিবার হিসেবে নতুন জীবনের জন্য হ্যারি ও মেগানের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমি ও আমার পরিবার পুরো সমর্থন দিচ্ছি। যদিও আমরা চাই রাজপরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালনেই তারা যুক্ত থাকুক। পরিবার হিসেবে আরও স্বাধীন জীবনযাপনে তাদের ইচ্ছার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি ও এর প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। এর পরও তারা আমার পরিবারের মূল্যবান অংশ হিসেবেই থাকবে।

রানি বলেন, সাসেক্সরা (হ্যারি ও মেগান) অবস্থান পরিবর্তনের এই সময়ে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বসবাস করবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে তিনি সম্মতি দিয়েছেন। তারা স্পষ্ট করেছেন, নতুন জীবনে তাঁরা সরকারি তহবিলের ওপর নির্ভর করতে চান না।

রানি বলেন, এগুলো সমাধান করা আমার পরিবারের জন্য জটিল বিষয়। এ ব্যাপারে আরও কিছু কাজ করা বাকি আছে। তবে আমি আর কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বলেছি।

হ্যারি-মেগান কেন রাজপরিবারের মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে চাইছেন, তা নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।

এর মধ্যেই গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্স উইলিয়ামের ‘রূঢ় আচরণের’ কারণে রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। তবে ওই প্রতিবেদনের তথ্য ‘ডাহা মিথ্যা’ উল্লেখ করে গতকালই হ্যারি ও উইলিয়ামের পক্ষে বিবৃতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘পুরোপুরি অস্বীকার করার পরও যুক্তরাজ্যের একটি পত্রিকায় ডিউক অব সাসেক্স ও ডিউক অব কেমব্রিজের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে একটি ভুয়া প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে খুবই যত্নশীল—এমন ভাইদের নিয়ে উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করা অপরাধ ও মারাত্মক ক্ষতিকর।’

এর আগেও দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভেদের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ বিষয়ে গত অক্টোবরে হ্যারিকে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তিনি উইলিয়ামকে খুবই ভালোবাসেন। এ বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার কোনো কারণ তিনি দেখেন না।

২০১৮ সালের মে মাসে হ্যারি ও মেগানের বিয়ে হয়। এর এক বছরের মাথায় ছেলে আর্চির জন্ম। এই দম্পতিকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে অনেক সময় নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ভিন্ন দেশের ও শ্বেতাঙ্গ না হওয়ায় নানা ধরনের নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে মেগান মার্কেলকে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি নিয়েও বিরক্ত হ্যারি-মেগান। গত বুধবার তারা রাজকীয় দায়িত্ব কমিয়ে এনে নতুন জীবন শুরুর ঘোষণা দেন। তারা উত্তর আমেরিকায় আরও বেশি সময় কাটানোর এবং আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। এতে রানি ও রাজপরিবারের সদস্যরা মর্মাহত হন। বলা হচ্ছে, রানির অবাধ্য হয়ে প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ রাজপরিবারে যে সংকট তৈরি করেছেন, তা দুই মহাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। রানি যত দ্রুত সম্ভব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

January 2019
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24