রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে ধর্ষকের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালেই শতাধিক শিক্ষার্থী ব্যানার ফেস্টুন হাতে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরাও পৃথকভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এদিকে একই ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে গতকাল অনশন কর্মসূচি শুরু করেন দর্শন বিভাগের ছাত্র সিফাতুল ইসলাম। তীব্র শীত উপেক্ষা করে প্রায় ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে তার অনশন। তার সাথে যোগ দিয়েছেন ডাকসু সদস্য সাইফুল ইসলাম রাসেল, মুস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুর রহমান আরও তিনজন।
চার দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা অনশন করছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে ধর্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে; এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে; ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
তবে এখনও পর্যন্ত বন্ধুরা ব্যতিত তার সঙ্গে প্রশাসনের কেউ দেখা করতে আসেননি জানিয়ে অনশনকারী সিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে বসেছি চার দফা দাবি নিয়ে। মূলত ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে আমরা বসেছি। আমরা ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনশন করছি। এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কেউ আসেনি দেখা করতে, তবে বন্ধুরা এসেছে।’
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আন্দোলন শুরু করেছে ডাকসু ভিপি নুরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বিকাল ৩টায় ডাকসুর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক-নাগরিক সমাবেশ। সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিপীড়ন বিরোধী ডাকসু মঞ্চ থেকে শুরু হবে লাগাতার সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।
Leave a Reply