বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে: ডিজি

ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে: ডিজি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, জাতিকে মাদকমুক্ত করতে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করা হবে। তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। এটা সার্বজনীন করার চেষ্টা চলছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিশ্ববিদালয়েও এটা চালু হবে। মাদক গ্রহণ করলে তরুণদের জীবন নানাভাবে থেমে যাবে। ডোপ টেস্ট তাদের জন্য একটি বার্তা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ডিজি এ সব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার কাজ দিয়ে সম্ভব হবে না। মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিচারকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

দেশব্যাপী মাদক দমনে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে হটলাইন নম্বর ০১৯০৮৮৮৮৮৮৮ চালু হবে বলে জানিয়েছেন জামাল উদ্দীন আহমেদ।

ডিজি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এবং ১৯৯০ মাদকের অপরাধ হচ্ছে জামিন অযোগ্য অপরাধ। আদালত যদি সে বিবেচনায় জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন দেন, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছু থাকে না। বিচারকদের এ ব্যাপারে সক্রিয় অবদান রাখতে হবে। তারা জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন তাহলে ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে আমাদের মোট মামলার ৪০ শতংশ সফলতার মুখ দেখে না। তাই আমরা আমাদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এখন মামলা করার ক্ষেত্রে সফলতা ইতিবাচকতা শুরু হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তারা বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন।

জামাল উদ্দীন বলেন, ২০১৮ সালে এ বিষয়ে ৯ হাজার মামলা হয়েছিল। এ বছর মামলা হয়েছে ১৭ হাজার। তবে মামলার হার অনুযায়ী আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। যে কারণে তারা জেল থেকে বের হয়ে আবার জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সঙ্গে।

তিনি বলেন, মাদকের বিস্তার রোধ করতে হলে বিচারকদের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। কারণ ২০১৮ সালে মাদকের যে আইন হয়েছে সেখানে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। তারপরও তারা কীভাবে জামিন পাচ্ছেন সেটা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত আমরা।

সংস্থাটির মহাপরিচালক আরও জানান, মাদক নির্মূলে সারা দেশের নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে এক কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

December 2019
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24