দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরাঞ্চলে হাড় কাঁপুনি অবস্থা। এরমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। রাতে রাজধানীতে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। দিনে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রচণ্ড এই শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দেশের নিম্নবিত্ত মানুষ। এছাড়াও শহরাঞ্চলে ছিন্নমূল ভাসমান জনগোষ্ঠীর এখন শীতের তাণ্ডবে জমাট দশা।
পৌষের এই তীব্র শীত আরও বেশ কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। শীতের তীব্রতা এখন বাড়তেই থাকবে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।
পৌষ আর মাঘের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতটা বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে যখন আঘাত করে- এই হাড় কাঁপানো শীতের হিম শীতল প্রবাহটা তো হিমালয় থেকেই ধীরে ধীরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুলি, কোচবিহার থেকে শুরু করে বাংলাদেশের পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলাগুলি প্রথমে আক্রান্ত করে।
তারপর ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষরা তাই শীতের প্রকোপটা টের পায় অনেক পরে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে শীতের ছোঁয়াটা পৌঁছাতে পৌঁছাতে শীতের সিজনটাই শেষ হয়ে যায়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অনত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গেল সপ্তাহখানেক ধরে সারা দেশে তাপমাত্রা কমতে কমতে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রির কোঠায় ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের দার্জিলিংয়ে এবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দফতর ইতোমধ্যে সতর্ক বার্তা দিয়ে রেখেছে যে, তাপমাত্রা যে হারে কমছে এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তবে এবার দার্জিলিংয়ের মানুষকে বরফ আচ্ছাদিত প্রকৃতির ভয়াবহতা মোকাবিলা করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
Leave a Reply