শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম পর্ব। বিপিএলের দুই পর্ব শেষে রানে শীর্ষে রয়েছে বিদেশী ব্যাটাররা। তবে সব নামি ও তারকা ব্যাটসম্যানকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশের উইলোবাজদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করে এখনপর্যন্ত পঞ্চম টপ স্কোরার ইমরুল কায়েসের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এ বাঁহাতি টপ অর্ডার এখন অবধি ৭ ম্যাচে করেছেন ২৩৫ রান। সর্বোচ্চ ৬২। গড় ৩৯.১৬। স্ট্রাইকরেট ১৪১.৫৬। হাফসেঞ্চুরি দুটি।
মাঝে দুটি ম্যাচ খেলতে না পারলেও চট্টগ্রামপর্বে ভালো খেলে রান তোলায় বেশ ওপরে জায়গা করে নিয়েছেন দেশের হয়ে সব ফরম্যাটের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।
ভাইরাস জ্বর ও গ্রোয়েন ইনজুরির সমস্যা কাটিয়ে মাঠে নেমে প্রথম দিন সুবিধা করতে না পারলেও পরের তিন ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো খেলে এখন সপ্তম সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী তামিম। ঢাকা প্লাটুন তথা দেশের শীর্ষ ওপেনারের সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ২০৪ রান। সর্বোচ্চ ৭৪। গড় ৫১। স্ট্রাইকরেট ১১৭.২৪। পঞ্চাশের ঘরে পা রেখেছেন দু’বার।
আহামরি ভালো খেলতে না পারেননি। বড় ইনিংস নেই তেমন। একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি (৫৮)। তবে লিটন দাস মোটামুটি রান করেছেন। ৫ ম্যাচে তার নামের পাশে ১৮৭ রান। গড় ৪৬.৭৫। স্ট্রাইকরেটও ভালো, ১৪১.৬৬।
ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে শুরু করলেও ধীরে ধীরে পিছনে চলে গেছেন আরেক স্বদেশি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। সিলেট থান্ডার্সের এ মিডল অর্ডার প্রথম খেলায় সেই যে ৮৪ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে, তারপরের ৫ ম্যাচে করেছেন ৯৫। আর কোন ফিফটি নেই। রান সংগ্রহে ১০ নম্বরে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনের এখন পর্যন্ত স্কোর ৬ ম্যাচে ১৭৯ রান। সর্বোচ্চ ৮৪। গড় ৪৪.৭৫। স্ট্রাইকরেটে ১৩৭.৬৯।
রান করায় মিঠুনের পর অবস্থান ওপেনার নাইম শেখের। ১১ নম্বরে থাকা নাইম শেখ শেখের ব্যাট থেকে এসেছে ৫ ম্যাচে ১৫৬ রান। সর্বোচ্চ ৭৮। গড় ৩১.২৫। স্ট্রাইকরেট ১২১.৮৭। পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছেছেন একবার।
এদিকে বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের অবস্থান ১৩ নম্বরে। একটি মাত্র ম্যাচে প্রায় শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া (৯৬) ছাড়া পুরো বিপিএলে মুশফিক ঠিক নিজের মত করে জ্বলেতে পারেননি। তাই রান সংগ্রহে তার অবস্থান এত পেছনে। মুশফিকের ৫ ম্যাচে সংগ্রহ ১৫৪ রান। সর্বোচ্চ ৯৬। গড় ৫১.৩৩, স্ট্রাইকরেট ১৪০.০০। পঞ্চাশ একটি।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১৪ নম্বর অবস্থানে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সিলেট থান্ডার্স অধিনায়ক ৬ ম্যাচে করেছেন ১৫২ রান। সর্বোচ্চ ৬০। গড় ৩০.৪০। স্ট্রাইকরেট ১১০.১৪। ফিফটি একটি।
এছাড়া সৌম্য সরকার (৬ ম্যাচে ১৪৭ রান, সর্বোচ্চ ৪১), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩ ম্যাচে ৭৬, সর্বোচ্চ ৫৯) আর সাব্বির রহমানের (৬ ম্যাচে ৮২, সর্বোচ্চ ৪৯) ব্যাট সেভাবে কথা বলেনি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই তিন জাতীয় ক্রিকেটারের অবস্থান আরও নিচে।
Leave a Reply