মাতৃদুগ্ধ যে শিশুর সর্বোত্তম খাদ্য তাতে কারও দ্বিমত নেই। জন্মের পর প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ খাবার প্রতিটি শিশুর জন্য নিশ্চিত করার তাগিদ স্বাভাবিক। যেসব শিশু নানা কারণে মায়ের দুগ্ধ থেকে বঞ্চিত তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির যথাযথ জোগান নিশ্চিত করার জন্য এ ব্যাংক
আমরা প্রায় সময় কর্মজীবী মায়েদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাই যে অফিসে থাকা অবস্থায় কীভাবে তারা তাদের বাচ্চা কে বুকের দুধ খাওয়াবে তাই তারা বাজারের কৌটো দুধ খাওয়ান। কিন্তু এর সমাধান খুব-ই সহজ। আপনি চাইলে আপনার বুকের দুধ সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন আর সেটা আপানার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন
এমন ভাবনে থেকেই দেশে প্রথমবারের মতো মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু করার পরিকল্পনা করছে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ। সরকার থেকে নীতিগত সিদ্ধান্ত পেলেই খুব শিগগিরই এটি চালু করার কথা জানিয়েছে আইসিএমএইচ।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রতিটি মায়ের কাছ থেকে সংগৃহীত দুধ আলাদা কন্টেইনারে জমা রাখা হবে এবং সেখানে দুধ দেড় বছর থাকলেও নষ্ট হবে না। ‘আমাদের দেশের তাপমাত্রা যদি সর্বোচ্চ ৩০০ এবং সর্বনিম্ন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হয়ে যায় তাহলেও দুধ নষ্ট হবে না।’
তিনি আরও জানান, যেসব মায়ের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হবে এবং যেসব মায়ের শিশুকে দুধ দেয়া হবে তাদের উভয়ের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি রাখা হবে। মায়েরা স্বেচ্ছায় ও নিজ উদ্যোগে দুধ দেবেন আর যাদের দরকার পড়বে তাদের বিনা মূল্যে দুধ দেয়া হবে।
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘যেসব শিশুর মা থাকবে না বা মা অসুস্থ, দুধ দিতে অক্ষম ও মায়ের দুধের উৎস নেই- সেসব মায়ের শিশুকে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের মাধ্যমে দুধ দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বা মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক স্থাপন করতে আমরা সব ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করে ফেলেছি।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠানো হবে উল্লেখ করে আইসিএমএইচয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত দিলে আমরা খুব শিগগিরই এটি চালু করব।’
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যাতে কোনো প্রশ্নে না উঠে সে জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতামত নিতেও আমরা চিঠি দেব। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি নিয়ে ফতোয়া কমিটির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।’
Leave a Reply